সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ। বদায়ুঁতে (Badaun) ৩২ বছরের এক মহিলাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৬ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনই নাবালক। পাঁচ মাস আগে ওই মহিলা ধর্ষণের শিকার হলেও সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকালই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল? তাঁর অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁর উপরে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। সেখানেই পাঁচজন তাঁকে ধর্ষণ করে। একজন গোটা ঘটনাটাই তুলে রাখে মোবাইলে। ধর্ষণের পরে অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে হুমকি দিয়ে বলে, মুখ খুললেই ভিডিওটি ভাইরাল করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামী ও বাচ্চাদেরও মেরে ফেলা হবে।
[আরও পড়ুন: কৃষকদের সমর্থনে গান্ধীজির প্রয়াণ দিবসেই ফের আমরণ অনশনে বসছেন আন্না হাজারে]
মহিলা প্রাথমিক ভাবে কাউকে কিছু না বললেও ক্রমেই ভাইরাল হয়ে যায় ধর্ষণের ভিডিও। পুলিশ জানিয়েছে, এক অভিযুক্ত ভিডিওটি ৩০০ টাকার বিনিময়ে একজনকে বিক্রি করেছিল। সেখান থেকেই ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। বদায়ুঁর পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট সংকল্প শর্মা জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এমাসেই বদায়ুঁতে আরও একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পরে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। ফের সেই বদায়ুঁতেই প্রকাশ্যে এল আরও এক গণধর্ষণের ঘটনা।
ন্যাশনাল ক্রাইমস রেকর্ড ব্যুরোর হিসেব বলছে, নারী নির্যাতনে দেশের শীর্ষে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। ২০১৬ সালের পর থেকে রাজ্যে এই ধরনের অপরাধের ঘটনা বেড়েছে ২০ শতাংশ। বারবার সেই রাজ্যে মেয়েদের উপরে নানা নিপীড়নের ছবি সামনে এসেছে। গত বছরের আগস্টে হাথরাসের ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।