সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম স্কুলজীবন থেকে। কিন্তু ইদানীং সম্পর্ক এসে দাঁড়িয়েছিল একেবারে তলানিতে। বিয়েতেও আর সায় ছিল না প্রেমিকের। ক্রমেই বাড়ছিল তিক্ততা। অনেক সময়ই এমন ক্ষেত্রে ব্রেক আপ হয়ে যায়। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) এক তরুণ-তরুণীর প্রেমকাহিনিতে যেভাবে রক্তের ছিটে এসে লাগল তা ভয়ংকর। ২১ বছরের প্রেমিকা শেষ পর্যন্ত ব্যস্ত রাস্তায় তরোয়াল দিয়ে কুপিয়ে মারল (Murder) তার প্রেমিককে। তারপর আত্মসমর্পণ করল পুলিশের কাছে।
সোমবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায় ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। ২২ বছরের তানাজি নাইডু বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। তখনই পাশের গ্রামের পবনী তার উপরে হামলা করে তরোয়াল নিয়ে। শেষ পর্যন্ত তানাজিকে খুন করে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে সে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আত্মসমর্পণ করে।
[আরও পড়ুন : নয়া কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ, পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন সুপ্রিম কোর্টের]
কিন্তু কেন সে খুন করল তার প্রেমিককে? পুলিশের কাছে সেকথা জানাতে গিয়ে পবনী পরিষ্কার জানিয়েছে, সে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে উঠেছিল তানাজির উপরে। দিন দিন সেই বিরক্তি বাড়ছিল। তাই আর সহ্য করতে না পেরে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়। পশ্চিম গোদাবরীর পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট এসপি কে নারায়ণ নায়েকের কথায়, ‘‘ওদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। কিন্তু সম্প্রতি ছেলেটি মেয়েটিকে এড়িয়ে চলছিল। বিয়ে করতেও রাজি ছিল না। উলটে টাকা চেয়ে বিরক্ত করছিল মেয়েটিকে। সব মিলিয়ে তাকে আর সহ্য হচ্ছিল না মেয়েটির। তাই শেষে ধৈর্য হারিয়ে খুনের পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত।’’
তিনি আরও জানিয়েছেন, পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তখন এক হাতে তরোয়াল, অন্য হাতে ফোন ধরে কারও সঙ্গে কথা বলছিল অভিযুক্ত। পালানোর কোনও চেষ্টাও করেনি সে। মৃত তরুণের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পিছনে আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা জানতে পবনীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।