সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে ‘কুপুত্র যদ্যপি হয়, কুমাতা কখনও নয়’। অর্থাৎ সন্তানের প্রতি মা কখনও নিষ্ঠুর হতে পারে না। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ২২ বছরের যে যুবতী মায়ের ‘কীর্তি’ প্রকাশ্যে এসেছে তা যেন সেই প্রবাদকে অস্বীকার করে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় (Viral video) যে নৃশংসতা দেখা গিয়েছে তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর একরত্তি সন্তানের উপরে অত্যাচার করে সেটি ভিডিওয় তুলে রাখতেন। আর সেই ভিডিওই শেষ পর্যন্ত ধরিয়ে দিল তাঁকে।
ঠিক কী হয়েছিল? ৩৭ বছরের স্বামীর সঙ্গে একেবারেই বনিবনা হচ্ছিল না ২২ বছরের তুলসীর। প্রায় দেড় মাস আগে তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০১৬ সালে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। ওই দম্পতির দুই সন্তান ৪ বছরের সন্তান ছিল বাবার কাছে। ১৮ মাসের শিশুসন্তানকে নিয়ে তামিলনাড়ুর বাড়ি থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের পৈত্রিক বাড়িতে চলে আসেন ওই তরুণী। আর সেখানেই চলতে থাকে শিশুটির উপরে অকথ্য, অমানবিক অত্যাচার। কেবল অত্যাচার করাই নয়। সেই নৃশংসতার ভিডিও-ও তুলে রাখতেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিজেপির বৈঠকে ‘অপমানিত’ সুদীপ রায়বর্মন, দলত্যাগ কি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা?]
তাঁর ফোন ঘেঁটে একাধিক ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে একটি গা শিরশিরে ভিডিওয় দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত তুলসী কীভাবে নিজের শিশুর মুখের উপরে একটানা আঘাত করে চলেছেন। মারতে মারতে হাত ব্যথা করলে কিছুক্ষণ থেমে ফেরে শুরু করছেন অত্যাচার। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটির মুখ দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
কেবল ওই ভিডিওই নয়, তাঁর ফোনে রয়েছে আরও ভিডিও। সেগুলিতেও দেখা গিয়েছে একরত্তি সন্তানের উপরে কেমন নারকীয় অত্যাচার চালাচ্ছেন তুলসী। এবং সব ভিডিওতেই তুলসীর মুখের অভিব্যক্তি নির্বিকারের। শেষ পর্যন্ত ওই ভিডিও দেখতে পান আত্মীয়রা। তাঁদের সূত্রেই খবর পৌঁছয় তুলসীর স্বামীর কাছে। তিনি দ্রুত শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নিজের সন্তানকে নিয়ে আসেন বাড়িতে। শেষ পর্যন্ত তাঁর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তামিলনাড়ু পুলিশ অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে গ্রেপ্তার করেছেন তুলসীকে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।