সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়াই কাজ অ্যাম্বুল্যান্সের। সেই কারণেই রোগীর পরিবার টাকা খরচ করে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে থাকেন। অথচ সেই অ্যাম্বুল্যান্স কিনা জ্বালানির অভাবে অন্তঃসত্ত্বাকে নিতেই আসতে পারল না! অগত্যা যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে রাস্তার ধারেই সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি।
অমানবিক এই ঘটনার সাক্ষী তেলেঙ্গানার (Telengana) নির্মল জেলার। গঙ্গামণি নামের এক আদিবাসী অন্তঃসত্ত্বার বৃহস্পতিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বামী অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন। কিন্তু তাঁরা এতটাই প্রত্যন্ত এলাকায় থাকেন যে অ্যাম্বুল্যান্স তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেনি। ফলে প্রতিবেশীরাই তাঁকে নদী পার করিয়ে রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছে দেন। কিন্তু তাতেও মেটেনি সমস্যা। জানা যায়, ডিজেলের অভাবে মাঝপথেই দাঁড়িয়ে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি!
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি বিজেপিতে পদত্যাগের হিড়িক, দলের পদ ছাড়লেন বিধায়ক দুর্গা মুর্মুও]
গঙ্গামণির স্বামীর দাবি, জ্বালানি ভরার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স চালককে অনলাইনে ৫০০ টাকাও পাঠান তিনি। তা সত্ত্বেও তা আসেনি। এদিকে প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। দীর্ঘ চার ঘণ্টা পরও যখন অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি, তখন রাস্তার ধারেই সন্তানের জন্ম দেন গঙ্গামণি। এরপর অন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সে নবজাতক এবং মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’জনই বর্তমানে সুস্থ বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
জেলা কালেক্টর বরুণ রেড্ডির সাফাই, রাস্তার খারাপ থাকার কারণে সাধারণত আদিবাসী এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছতে পারে না। যে কারণে কদিন আগেই প্রসূতিদের হাসপাতালে ভরতি হতে বলা হয়। গঙ্গামণির তারিখ ছিল ২২ সেপ্টেম্বর। ফলে আচমকা প্রসব যন্ত্রণা হওয়াতেই সমস্যা হয়েছে। যদিও জ্বালানির অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স যে পৌঁছতে পারেনি, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে শীঘ্রই ওই রাস্তা ঠিক করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা কালেক্টর।