সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকের সঙ্গে জোট বেঁধে স্বামীকে হত্যা (Murder) করেই ক্ষান্ত হয়নি স্ত্রী। এরপর টুকরো টুকরো করে সেই দেহ কেটে খণ্ড দেহ রাসায়নিকে ডুবিয়ে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাসায়নিকে বিস্ফোরণ হতেই ভেস্তে গেল সব পরিকল্পনা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত গৃহবধূর বোন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধেই। নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে বিহারের (Bihar) সিকন্দরপুরে।
ঠিক কী হয়েছিল? পুলিশ জানিয়েছে, মুজফফরপুরের বাসিন্দা রাকেশের স্ত্রী রাধার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল রাকেশেরই বন্ধু সুভাষের। রাকেশ বেআইনি মদের ব্যবসা করতেন। সুভাষ ছিল ব্যবসার এক অংশীদার। রাকেশকে অনেক সময়ই শহরে যেতে হত। সেই সময়ই রাধার কাছাকাছি আসে সুভাষ। সম্পর্ক গভীর হলে দু’জনেই সিদ্ধান্ত নেয় রাকেশকে সরিয়ে দেওয়ার।
[আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ত্রিপুরায় ফের বাতিল অভিষেকের মহামিছিল, স্থগিতাদেশ জারি হাই কোর্টের]
সম্প্রতি বিহারে তিজ পার্বণ ছিল। সেই সময়ই রাকেশ নিজের ফ্ল্যাটে ফেরে। আর তখনই তাকে খুন করে সুভাষ-রাধা। সঙ্গে ছিল রাধার বোন ও তার স্বামী। খুন করার পর দেহ লুকিয়ে রাখতেই দেহটি কেটে রাসায়নিকে ডুবিয়ে রাখার পরিকল্পনা করে অভিযুক্তরা। এরপর দেহের খণ্ডাংশ রাসায়নিকে ডুবিয়ে রাখতে যেতেই আচমকা বিস্ফোরণ হয়। আর সেই শব্দ পেতেই চমকে ওঠেন প্রতিবেশীরা। দ্রুত খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় ফ্ল্যাটের মেঝেতে পড়ে রয়েছে টুকরো টুকরো রক্তাক্ত দেহখণ্ড।
রাকেশের ভাই দীনেশের দাবি, পাড়ার সকলেরই জানা ছিল সুভাষ ও রাধার অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি। তাঁর দায়ের করা অভিযোগর ভিত্তিতেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সিকন্দরপুরের পুলিশ অফিসার হরেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে মৃতের স্ত্রী রাধা, সুভাষ, রাধার বোন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।