সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজ্ঞাপন দেখে ধুমধাম করে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ে দু'মাসের বেশি স্থায়ী হয় না। তবে কারও সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদও হয় না। শুধুমাত্র কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় নববধূ। সঙ্গে দামী দামী গয়নাগাটি এবং নগদ লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েও যায় সে। বিয়ে নিয়ে এমনই প্রতারণার অভিযোগে কাঠগড়ায় এক মহিলা এবং বিজ্ঞাপন সংস্থা।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের এক ব্যক্তি লাস্যময়ী ওই মহিলার কীর্তি ফাঁস করেন। ঠিক কী হয়েছিল তাঁর সঙ্গে? ইমারতি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত গাজিয়াবাদের কবিনগর এলাকার বাসিন্দা যুগল কিশোর। বছরখানেক আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ছেলেও অন্য জায়গায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন। বিরাট বড় বাড়িতে একেবারে একা বসবাস করতে থাকেন ওই বৃদ্ধ। একাকীত্বের জেরে মানসিক অবসাদেও ভুগতে থাকেন তিনি। স্থির করেন এমনই কোনও এক নিঃসঙ্গ মহিলার সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বাঁধবেন। সেই অনুযায়ী খান্না বিবাহ কেন্দ্র নামে একটি সংস্থায় পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দেন তিনি। ওই সংস্থার মাধ্যমে মণিকা মালিক নামে এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনিও একেবারেই নিঃসঙ্গ বলেই জানান ওই ব্যবসায়ীকে। কথাবার্তার পর গত বছরের আগস্টে বিয়ে হয় তাঁদের। বিয়ের পর কবিনগরের বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: এবার রান্না করা খাবারকে বিদায় দিতে চলেছে রেল, হকারদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির আশঙ্কা]
দিব্যি সুখে কাটছিল নবদম্পতির দিন। বৃদ্ধের দাবি, গত বছরের ২৬ অক্টোবর তিনি দেখেন মণিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও গেলেন নববধূ তা খোঁজ করতে শুরু করেন বৃদ্ধ। তবে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বৃদ্ধ দেখেন বাড়ির সব জিনিসপত্র ঠিকঠাক রয়েছে। তবে বেশ কিছু দামী গয়না এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। প্রতারিত হয়েছেন তা বুঝতে কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁর। এরপর ওই বিজ্ঞাপন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন বৃদ্ধ। অভিযোগ, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়।
বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। জানা গিয়েছে, প্রতারক ওই মহিলা দশ বছরে কমপক্ষে ৮জন নিঃসঙ্গ বৃদ্ধকে বিয়ে করেছে। তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে দামী গয়নাগাটি এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে সে। তাতে বিজ্ঞাপন সংস্থারও যোগসাজশ রয়েছে। পুলিশ ওই মহিলা এবং বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। প্রত্যেকের খোঁজে চলছে তল্লাশি।