অভিষেক চৌধুরী,কালনা: ফের নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটল রাজ্যে। সোমবার রাতে মন্তেশ্বরের মামুদপুরের গলা কেটে, কুপিয়ে খুন করা হল এক মহিলাকে। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে অন্য এক মহিলাকে ছুটে পালাতে দেখে স্থানীয়রা তাঁকে ধরে ফেলে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। তবে খুনের সঙ্গে তিনি কোনওভাবে যুক্ত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মৃতার নাম শান্তি হাজরা (৫৫)। তাঁর বাড়ি মামুদপুরের হাজরাপাড়ায়। তিনি ওই এলাকার একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। রাত-বিরেতে এমন নৃশংস খুনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: নৈহাটিতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! অভিযুক্ত এলাকারই যুবক]
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মামুদপুর ১ পঞ্চায়েতের বারাপুর এলাকার একটি নির্জন জায়গা থেকে মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা জানায়, হঠাৎ করেই একটি চিৎকার কানে আসতেই তাঁদের সন্দেহ হয়। এরপরেই এক মহিলাকে স্থানীয়রা ছুটে পালাতে দেখেন তাঁরা। তারপরেই তাঁকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে আসে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আটক মহিলাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তারা।
প্রসঙ্গত. এদিন সকালে বীরভূমের (Birbhum) কীর্ণাহারে উদ্ধার এক মহিলার মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মঞ্জু বাগদী। বয়স ৩৮। গ্রামের এক মাঠের মধ্যে ওই মহিলার দেহ পড়ে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর, তাঁর গলায় শাড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। শোনা গিয়েছে, ৩৮ বছরের মঞ্জু বাগদীর স্বামী বহুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তারপর থেকে একাই থাকতেন তিনি। স্থানীয়দের দাবি, বিধবা ওই মহিলার একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও ছিল।