সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের পর এবার বিহার। বিকৃতকাম মানুষদের লালসার শিকার হলেন এক মহিলা। শুধু তাই নয়, গণধর্ষণের পর পাঁচ বছরের সন্তান-সহ তাঁকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। ভাগ্যের জোরে নির্যাতিতা প্রাণে বাঁচালেও একরত্তি শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার (Buxar) জেলায়।
রবিবার সন্ধ্যেয় সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে একটি ব্যাংকের দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় অভিযুক্তরা তাঁকে অপহরণ করে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তারপর সবাই মিলে লাগাতার ধর্ষণ (rape) করে। পরে ওই মহিলা অচৈতন্য হয়ে পড়লে প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকে ও পাঁচ বছরের বাচ্চাটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। নদীতে পড়ার পরেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে চেঁচামেচি শুরু করে দেন নির্যাতিতা। সেই আওয়াজ শুনে ওই এলাকার মানুষ ছুটে এসে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের পর এবার দিল্লি, শর্তসাপেক্ষে দুর্গাপুজোর অনুমতি দিল কেজরিওয়ালের সরকার ]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জেরা করে বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের সঙ্গে নির্যাতিতার আগে কোনও বচসা হয়েছিল কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই নীতীশ কুমারের সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। সরকারের উদাসীনতার জন্য উত্তরপ্রদেশের মতো বিহারও ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ঘটনা বিরোধীদের হাতে হাতিয়ার তুলে দিল। নীতীশ কুমার প্রশাসনের যে সুশাসনের কথা এনডিএ জোট বুক ঠুকে প্রচার করে এই ঘটনা তাকে ভুল প্রমাণ করল।