সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা মানেই নিরাপদ আশ্রয়। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানকে আগলে রাখেন মা। পুণের ইয়ারাডায় সেই মা-ই হয়ে উঠলেন খুনি। নিজের দুধের কন্যাসন্তানকে খুন করল সে। দেহ লোপাটের জন্য কাজে লাগালেন তার তেরো বছর বয়সি সন্তানকে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ওই মহিলা। তার কিশোর সন্তানও আপাতত পুলিশের হেফাজতেই।
বুলধানার বাসিন্দা ওই মহিলা। তেরো বছর বয়সি এক পুত্রসন্তান এবং মাসতিনেকের এক কন্যাসন্তানের মা সে। তার প্রতিবেশীদের দাবি, বেশ কয়েক মাস ধরে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তার প্রতিবাদ করেন ওই মহিলার স্বামী। সে কারণেই দু’পক্ষের বচসা লেগেই থাকত। দাম্পত্য সম্পর্ক কার্যত বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেয় দু’জনে।
[আরও পড়ুন: ফের বড় চমক, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলিউড অভিনেত্রী বর্ষা উসগাঁওকার]
সেই সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিল ওই মহিলা। তাই স্বামীকে ছেড়ে শুধুমাত্র পুত্রসন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করে সে। তিনমাস আগে কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় ওই মহিলা। সূত্রের খবর, ওই মহিলা ভেবেছিল আবারও পুত্রসন্তানেরই মা হবে সে। তাই কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় অখুশি ছিল। সে কারণেই দুধের সন্তানের কোনও যত্নই করত না ওই মহিলা।
অভিযোগ, সেই আক্রোশেই দিনকয়েক আগে নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। তবে স্থানীয়দের কাছে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায় ওই মহিলা। সে কারণে কন্যাসন্তানকে খুনের (Murder) পর একটি প্লাস্টিক ব্যাগে তার দেহটি ঢুকিয়ে দেয়। এরপর কিশোর ছেলের হাতে ওই প্লাস্টিক ব্যাগটি ধরিয়ে দেয় মহিলা। নদীর পাড়ে ফেলে দিয়ে আসতে বলে সে। এদিকে, শিশুকন্যাকে দেখতে না পাওয়ায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পুলিশকে জানানো হয় বিষয়টি। তদন্তকারীরা ওই মহিলার বাড়িতে পৌঁছয়। কিশোরকে জেরা করে। সেই পুলিশকে সব জানিয়ে দেয়। কিশোরের কথা অনুযায়ী নদীর পাড়ে হানা দেয় পুলিশ। শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।