সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে জীবনের ব্যস্ততা। আবার তার উপর স্মার্টফোন ব্যবহারের বাড়বাড়ন্ত। দুয়ের সাঁড়াশি চাপে ঘুমের সময় পড়ছে কোপ। তার ফলে একাধিক রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭ ঘণ্টা নিয়মিত ঘুম না হলে হতে পারে সর্বনাশ। বিশ্ব নিদ্রাদিবসে জেনে নিন ঘুম কম হওয়ার বিপদ।
ঘুম কম হওয়ার ফলে ঠিক কী কী সমস্যা হচ্ছে?
ঝিমুনি:
দিনভর অনেক কাজ করতে হয় আমাদের। রাতে ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হলে ঝিমুনিভাব থাকে। তার ফলে ক্লান্তিবোধ হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া:
শুধুমাত্র সুষম খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তা নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই একটানা ৭ ঘণ্টার কম ঘুম হলে অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন আপনি। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভ্যাস বদলান। থাকুন সুস্থ।
সিওপিডি-র সম্ভাবনা:
যাঁরা কম ঘুমোন তাঁদের সিওপিডি-র মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই ফুসফুসজনিত রোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ঘুমনোর অভ্যাস বদল করুন। ন্যূনতম সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমোতেই হবে। সেভাবে নিজের দৈনিক রুটিন ছকে ফেলুন।
ওজনজনিত সমস্যা:
আপনি কি সেভাবে খাওয়াদাওয়া না করেই মোটা হয়ে যাচ্ছেন? কিংবা অত্যন্ত রোগা হয়ে গিয়েছেন? তবে অবশ্যই কতক্ষণ ঘুমোচ্ছেন, তার হিসাব করুন। ৭ ঘণ্টার কম ঘুমোলে কিন্তু অকারণে ওজনের তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক ঘুমের ফলেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারেন প্রতিটি মানুষ। নিমেষে দূর হয়ে যেতে পারে হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা। রক্তচাপজনিত সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ সমস্যাও দূর হওয়ার একটাই ওষুধ পর্যাপ্ত ঘুম। তবে অনেকেই দাবি করেন, তাঁরা ঘুমোতে চাইলেও রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কয়েকটি নিয়ম মানলেই ভালো ঘুম হতে পারে।
সেগুলি হল:
১. ঘুমনোর কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়াদাওয়া সেরে ফেলুন।
২. অতিরিক্ত পরিমাণে কফির কাপে চুমুক দেবেন না।
৩. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. গোটা ঘর অন্ধকার করে দিন।
৫. শোওয়ার ঘর কিংবা বিছানার আশেপাশে স্মার্টফোন রাখবেন না।