ভারত প্রথম ইনিংস: ৯২.১ ওভারে ২১৭/১০ (রাহানে ৪৯, বিরাট ৪৪, জেমিসন ৫/৩১)
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৪৯ ওভারে ১০১/২ (কনওয়ে ৫৪, লাথাম ৩০, ইশান্ত ১/১৯, অশ্বিন ১/২০)
নিউজিল্যান্ড ১১৬ রানে পিছিয়ে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে অভিষেকেই জাত চিনিয়েছিলেন। লর্ডসের মাঠে ভেঙেছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) রেকর্ডও। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই টিম ইন্ডিয়াকে (Team India) নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) ওপেনার ডেভন কনওয়ের ব্যাপারে সাবধানও করেছিলেন। আর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (World Test Championship Final) তৃতীয় দিনে বিশেষজ্ঞদের সেই সাবধানবাণীই সত্যি প্রমান করলেন কিউয়ি ওপেনার। ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে দিনের শেষ ওভারে ইশান্তের বলে আউট হলেও ভারতের ২১৭ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দিলেন কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায়। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন আরেক কিউয়ি ওপেনার টম লাথামও। প্রথম ইনিংসে বিরাটদের রানের জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে কিউয়িদের রান ২ উইকেটে ১০১। প্রথম ইনিংসে টিম ইন্ডিয়ার তুলনায় কেন উইলিয়ামসনরা পিছিয়ে ১১৬ রানে।
বৃষ্টি কারণে ভেঙে প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনেও পুরো খেলা শেষ করা যায়নি। সেই তুলনায় তৃতীয় দিনে আবহাওয়া অনেকটাই পরিষ্কার। এদিন নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরু হয়। ৩ উইকেটে ১৪৬ রান থেকে খেলা শুরু করে ভারত। কিন্তু দিনের শুরুতেই আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে টিম ইন্ডিয়াকে চাপে ফেলে দেন কিউয়ি বোলাররা। প্রথম কয়েক ওভারের মধ্যেই ফিরে যান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৪৪)। তাঁকে আউট করেন আরসিবি সতীর্থ জেমিসনই। কোহলিকে আউট করার কয়েক ওভার পরে ঋষভ পন্থকেও ফেরান জেমিসনই। যদিও এক্ষেত্রে বেশিরভাগ দোষটাই বলা যেতে পারে পন্থের।
অধিনায়ক কোহলি এবং পন্থ আউট হয়ে গেলেও উলটোদিকে লড়াই চালাচ্ছিলেন সহ-অধিনায়ক আজিঙ্ক রাহানে। কিন্তু তিনিও ওয়াগনারের বলে ৪৯ রান করে লাথামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রাহানে। এরপর লাঞ্চের আগেই অশ্বিনের (২২) উইকেটও হারায় ভারত। তাঁকে আউট করেন টিম সাউদি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর অবশ্য পুরোটাই জেমিসন ম্যাজিক। পরপর দু’বলে ফেরান ইশান্ত (৪) এবং বুমরাহকে (০)। শেষে বোল্টের বলে জাদেজা আউট হন ১৫ রান করে। সবমিলিয়ে ভারতের ইনিংস শেষ হল ৯২.১ ওভারে ২১৭ রানেই। ২২ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট জেমিসনের। অন্যদিকে, ওয়াগনর এবং বোল্ট দুটি ও সাউদি একটি উইকেট পান।
[আরও পড়ুন: দুর্দান্ত লড়াই শেফালি-স্নেহাদের, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্র করলেন ভারতের মেয়েরা]
এই পরিস্থিতিতে ভারতকে ম্যাচে ফেরাতে পারতেন বুমরাহ-শামি-ইশান্ত-অশ্বিনরা। কিন্তু দুই কিউয়ি ওপেনার শুরু থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। টম লাথাম এবং ডেভন কনওয়ে বারকয়েক ক্যাচ তুললেও কার্যত ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিলেন। দু’জনে মিলে প্রায় ৩৫ ওভার ব্যাটিং করেন। ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৭০ রান। শেষপর্যন্ত রবিচন্দ্রন অশ্বিনই এই জুটি ভাঙেন। ব্যক্তিগত ৩০ রান করে অশ্বিনের বলে বিরাটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লাথাম। এরপর অধিনায়ক উইলিয়ামসনের সঙ্গে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কনওয়ে। সম্পন্ন করেন নিজের অর্ধ-শতরানও। কিন্তু এরপরই যেন মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। ইশান্ত শর্মার বলে ৫৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই কিউয়ি ওপেনার। যদিও ইশান্তের ওই ওভারের পরই খারাপ আলোর জন্য দিনের খেলা শেষ হওয়ার কথা ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। শেষপর্যন্ত দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ৪৯ ওভারে দুই উইকেটে ১০১। কিউয়িরা এখনও পিছিয়ে ১১৬ রানে। ক্রিজে উইলিয়ামসন (১২*) এবং রস টেলর (০*)। পরিস্থিতি যা চতুর্থ দিনের শুরুতে ভারতীয় বোলারদের উপরই যাবতীয় দায়িত্ব। বলতে তাঁদের পারফরম্যান্সের উপর ঠিক হবে ম্যাচের ভাগ্য।