সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আর্মেনীয়দের গণহত্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আর্মেনিয়ার (Armenia) প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। তাঁর সাফ কথা, ওই অঞ্চল আর্মেনিয়ার সেখানে কারও দখলদারি মেনে নেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: শিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে হাহাকার! উইঘুর মুসলিমদের চুল কেটে বিদেশে বেচছে চিন]
BBC-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দখল নিতে আর্মেনীয়দের গণহত্যা চালাতে পারে আজারবাইজানের ফৌজ। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠবে। পাশিনিয়ান আরও দাবি করেন, বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল আর্মেনীয়দের ভূমি। সেখানে হানাদার বাহিনীকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আজারবাইজানের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে হলেও নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের শাসনভার রয়েছে আর্মেনীয় বিদ্রোহীদের হাতে। স্বঘোষিত ও ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিপাবলিক অফ আর্টসাক’।
এদিকে, গত শুক্রবার রুশ মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের (Azerbaijan) মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা ক্ষণস্থায়ী হয়। ফের যুদ্ধে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া লড়াইয়ে এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনশো জনেরও বেশি মানুষের। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশ বিদ্রোহী আর্মেনীয় বাহিনীর সদস্য। এহেন পরিস্থিতিতে নাগর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্তেপানকার্ট শহরের অর্ধেক জনসংখ্যা, প্রায় ৭০ হাজার আর্মেনীয় ঘরবাড়ি ছেড়ে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। সহর্টিতে লাগাতার গোলাবর্ষণ করে চলেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী। পালটা বাকুর অভিযোগ, আজারবাইজানের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ গাঞ্জা শহরে সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করছে আর্মেনীয় গোলন্দাজরা। এর ফলে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ওই অঞ্চলে পরিস্থিতি ফের ঘোরাল হয়ে উঠেছে।