সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবারই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূল হয়ে ক্রমশ উত্তরদিকে এগিয়ে পাকিস্তানে চলে যাবে ‘বিপর্যয়’। ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপকতা বেশ তীব্র হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই তা সামাল দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গিয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার মানুয।
ক্যাটাগরি-৩ বা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তকমা দেওয়া হয়েছে ‘বিপর্যয়’কে (Biparjoy)। ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগের ঝড়ো হাওয়া নিয়ে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়টি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছতে পারে ১৭০ কিমি প্রতিঘণ্টা পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, আগামী কাল, পাকিস্তানের উপকূলবর্তী থাট্টা জেলা ও ভারতের গুজরাটে আছড়ে পড়তে চলেছে বিপর্যয়।
[আরও পড়ুন: তিনি নির্দোষ, মায়ামির আদালতে দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের!]
পাকিস্তানের যে এলাকাগুলিতে বেশি প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে সেগুলি হচ্ছে–থাট্টা, বাদিন, সাজাওয়াল, থারপারকার, করাচি, মিরপুরখাস, উমেরকোট, হায়দরাবাদ, ওরমারা। সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে তিন প্রদেশের সাতটি তালুকের প্রায় ৭১ বাজার মানুয বিপদের মুখে। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিপদসঙ্কুল এলাকা থেকে ৫৭ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নি্য়ে যাওয়া হয়েছে। অনেকে নিজে থেকেই আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন।
এদিকে, জনতাকে আশ্বস্ত করেছেন পাকিস্তানের পরিবেশ মন্ত্রী শেরি রহমান। তিনি জানিয়েছেন, সিন্ধ ও বালোচিস্তান প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিস্থিতিির উপর নজর রাখছে সরকার। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি তারা।
উল্লেখ্য, ভারতেও বিপর্যয়ের প্রভাব পড়বে। গুজরাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত প্রশাসন। সোমবারই একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন তিনি। গুজরাট, মুম্বই-সহ পাকিস্তানের উপকূল এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপদসঙ্কুল এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।