shono
Advertisement

বিতর্কিত অঞ্চলের গ্রাম দখল আজারবাইজান সেনার, পালটা প্রতিরোধে দেশবাসীকে বার্তা আর্মেনিয়ার

শনিবার সন্ধের পর থেকে আক্রমণ তীব্রতর করেছে দু'দেশই।
Posted: 02:20 PM Oct 04, 2020Updated: 02:23 PM Oct 04, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই আর্মেনিয়ার (Armenia) দিকে আরও শক্তি নিয়ে এগিয়ে চলেছে আজারবাইজান (Azerbaijan)। সপ্তাহব্যাপী সংঘর্ষের পর বিতর্কিত নাগর্নো-কারবাখ অঞ্চলে একটি গ্রাম নিজেদের দখলে (Seize) এসেছে বলে দাবি করলেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট। যদিও এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্টের পালটা বক্তব্য, মাদাগিজ নামে ওই গ্রামে তাঁর দেশের সেনাই পতাকা উড়িয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে গ্রামের দখল আর্মেনিয়ার হাতেই। শনিবার রাত থেকে দু’দেশের সেনাই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। সংঘর্ষের তীব্রতা আরও বেড়েছে।

Advertisement

বিতর্কিত নাগর্নো-কারবাখ (Nagorno-Karbakh) অঞ্চল নিয়ে অশান্তির জেরে আচমকাই গত রবিবার থেকে কার্যত রণসজ্জায় সেজে ওঠে আজারবাইজান, আর্মেনিয়া। মিসাইল, অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কার, সেনা কপ্টার থেকে লড়াই চলছে। এদিকে, শনিবারের খবর অনুযায়ী ইসলামিকল রাষ্ট্র আজারবাইজানের সমর্থনে লড়াইয়ের জন্য ককেশাস পর্বতে হাজির হয়েছে পাক সেনার দল। আরেকদিকে আর্মেনিয়ার পক্ষে লড়াইয়ে মদত দিচ্ছে রুশ সেনা। এই অবস্থায় শনিবার সন্ধের পর থেকে পারদ আরও চড়েছে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া সংঘর্ষের। আজারবাইজান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাদের সেনা আর্মেনিয়ার বহু সামরিক সামগ্রী ধ্বংস করে দুর্বল করে দিয়েছে আর্মেনিয়ার প্রতিরোধ। বলা হয়েছে, ”আজারবাইজানি সেনা সুনির্দিষ্ট পথে এগিয়ে সাফল্যের সঙ্গে শত্রুদেশের অধীনস্ত এলাকার দখল নিয়েছে। সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছে শত্রুপক্ষকে।”

[আরও পড়ুন: আজারবাইজানের পক্ষে লড়াইয়ে শামিল পাক সেনা, আর্মেনিয়ার হয়ে ময়দানে রুশ বাহিনী!]

আজারবাইজানের এই দাবি আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্র উড়িয়ে দিলেও দেশ যে একটা ঐতিহাসিক সংকটে পড়েছে, তা মেনে নিচ্ছে আর্মেনিয়া প্রশাসন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিন্যান শনিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, ”সম্ভবত সহস্রাব্দের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মুখে দাঁড়িয়ে আমরা। সকলকেই একটিমাত্র লক্ষ্যেই এগিয়ে যেতে হবে – জয়।” শনিবার সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে যে বিতর্কিত এলাকায় আজারবাইজানের তিনটি সামরিক বিমান গুলি করে নামানো হয়েছে। অপরপক্ষে দাবি অস্বীকার করেছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহ্যাম অ্যালিয়েভ।

[আরও পড়ুন: ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা, ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে সরব ফরাসি প্রেসিডেন্ট]

দু দেশের সংঘর্ষে ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও চলছে দ্বন্দ্ব। আজারবাইজান সেনার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোনও তথ্যই প্রকাশ করেনি। বলা হয়েছে, ১৯ জন সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে, আহত ৫৫ জন। নাগর্নো-কারবাখ অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, তাদের তরফে ১৫০ জনের প্রাণ গিয়েছে। আবার ভাহরাম পোগোস্যান নামে এক অফিসারের ফেসবুকে পোস্ট বলছে, অন্তত ৩ হাজার আজারবাইজান সেনার প্রাণ গিয়েছে সংঘর্ষে। আজারবাইজান তা গোপন করছে। সবমিলিয়ে, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা দু’দেশে যুদ্ধের পারদ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement