shono
Advertisement
Canadian minister

খলিস্তানি খুনে শাহ যোগ! মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের নেপথ্যে কানাডার মন্ত্রী

তথ্য প্রমাণ ছাড়াই 'ওয়াশিংটন পোস্ট'কে এই তথ্য দেন কানাডার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 10:10 AM Oct 30, 2024Updated: 01:52 PM Oct 30, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারত-কানাডা কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই প্রকাশ্যে আসে ওয়াশিং পোস্টের এক প্রতিবেদন। যেখানে দাবি করা হয়, খলিস্তান বিরোধী অপারেশনের অনুমোদন দিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই ঘটনায় এবার কানাডার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ডেভিড মরিসন স্বীকার করলেন ওয়াশিংটন পোস্টকে এই তথ্য দিয়েছিলেন তিনিই। এই ঘটনা ভারত ও কানাডার সম্পর্ককে আর খারাপের দিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওয়াশিংটন পোস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে স্পষ্টভাবে দাবি করা হয়, কানাডা পুলিশের কাছে প্রমাণ রয়েছে ভারতের এক শীর্ষ নেতার অনুমোদনে কানাডায় খলিস্তানিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমনকি 'সূত্রের খবর' বলে দাবি করা হয়, সেই নেতা নাকি অমিত শাহ। এবার ডেভিড স্বীকার করে নিলেন মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের দাবি করা সেই 'সূত্র' তিনি নিজেই। মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির সামনে বিবৃতি দেওয়ার সময় একথা জানান ডেভিড। যদিও এই দাবির প্রেক্ষিতে কোনও তথ্য প্রমাণ ও দেননি কানাডার মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এমন বিস্ফোরক দাবির আগে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর অনুমতিও নেওয়া হয়নি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ট্রুডোর জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা উপদেষ্টা নাথালি ড্রুইন মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটিকে জানান, এই তথ্য প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের সূত্রপাত ২০২৩ সালের জুন মাসে। কানাডায় এক গুরুদ্বারের বাইরে খলিস্তানপন্থী নিজ্জরকে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। এই ঘটনার পিছনে ভারতের হাত রয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেন ট্রুডো। যদিও ভারত সে অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে। এই ইস্যুতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে। তবে বার বার অভিযোগ তোলা হলেও খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনে ভরতীয় এজেন্টের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ দিল্লির হাতে তুলে দেয়নি কানাডা।

এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে কানাডার তরফে দাবি করা হয় নিজ্জর খুনে সঞ্জয় ভার্মাদের কাছে কোনও তথ্য থাকতে পারে। এমন দাবির পর পরিস্থিতি আর জটিল আকার নেয়। তলব করা হয় ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস উইলারকে। পাশাপাশি কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার-সহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিবিদকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করে দিল্লি। সেই মতো ভারতে চলে আসেন ৬ কূটনীতিক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ভারত বিরোধী প্রতিবেদনের নেপথ্যে কানাডার এক মন্ত্রী।
  • কানাডার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ডেভিড মরিসন স্বীকার করলেন ওয়াশিংটন পোস্টকে এই তথ্য দিয়েছিলেন তিনিই।
  • এই ঘটনা ভারত ও কানাডার সম্পর্ককে আর খারাপের দিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement