সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস নিয়ে আরও বেকায়দায় চিন।আমেরিকার অভিযোগে সিলমোহর দিলেন নোবেলজয়ী ফরাসি বিজ্ঞানী লুক মন্তাজিনিয়ের। তাঁর দাবি, করোনা ভাইরাস মানুষের তৈরি। ইউহানের গবেষণাগারেই তৈরি হয়েছে এই জীবাণু।
[আরও পড়ুন: থামছে না মারণ ভাইরাসের মৃত্যুমিছিল, ইউরোপে করোনার বলি লক্ষাধিক]
২০০৮ সালে HIV ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন লুক মন্তাজিনিয়ের। ফলে তাঁর অভিযোগ ফাঁকা বুলি বা ভিত্তিহীন জল্পনা নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এক ফরাসি সংবাদমাধ্যমে মন্তাজিনিয়ের দাবি করেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে HIV’র পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার জীবাণুও রয়েছে। যা অত্যন্ত সন্দেহজনক। কোভিড-১৯-এর যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য দেখা গিয়েছে, তা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হতে পারে না। তিনি আর জানান, ইউহান ন্যাশনাল বায়োসেফটি ল্যাবেরটরিতে প্রায় দু’দশক ধরে করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে। সম্ভবত, সেখান থেকেই দুর্ঘটনাবশত এই ভাইরাসটি বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ‘ইউহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি’র ডিরেক্টর উয়ান ঝিমিং। তিনি সাফ বলেন, “ইনস্টিটিউটে কী ধরনের গবেষণা হয়, ভাইরাস ও অন্যান্য নমুনা কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়, তা আমরা জানি। সেজন্য যথেষ্ট কঠোর নিয়মও মেনে চলা হয়। এই ভাইরাসটি যে কোনওভাবেই আমাদের ল্যাব থেকে ছড়ায়নি, সেবিষয়ে আমরা নিশ্চিত।”
উল্লেখ্য, নানা মহলের দাবি, রহস্যময় এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে ইউহান প্রদেশের গোপন গবেষণাগার থেকেই। কোনও কোনও মহল থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নাশকতা বা অন্তর্ঘাত করেই চিনের কোনও বিজ্ঞানী বা গুপ্তচর এই ভাইরাস ছড়িয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের একটি প্রতিবেদনে স্পষ্ট জানিয়েছিল, এই আরএনএ ভাইরাসকে চিন তৈরি করেছে মারণাস্ত্র হিসেবেই। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের ছোবলে হাজার হাজার মানুষকে কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলা সম্ভব। ইউহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিএসএল-৪ ল্যাবরেটরিতে অতি গোপনে এই জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল অনেকদিন ধরেই।
[আরও পড়ুন: ‘করোনার জন্য চিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক’, রাষ্ট্রসংঘে আরজি আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ সংসদের]
The post করোনা তৈরি করেছে চিন, বিস্ফোরক দাবি নোবেলজয়ী ফরাসি বিজ্ঞানীর appeared first on Sangbad Pratidin.
