সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প মসনদে বসতেই আমেরিকায় শুরু 'অনুপ্রবেশকারী হঠাও অভিযান'। গ্রেপ্তার ৫৩৮ জন। এই 'অনুপ্রবেশকারী'দের একটা বড় অংশকে বের করে দেওয়া হয়েছে দেশ থেকে। তিনদিন হয়েছে প্রেসিডেন্টের গদিতে বসেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচার থেকেই তিনি হুঙ্কার দিয়েছিলেন, আমেরিকা শুধু আমেরিকানদের। ক্ষমতায় এলে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের নিজেদের দেশে পাঠাতে কড়া পদক্ষেপ করবেন। সেই মতোই ধরপাকড় শুরু করেছে তাঁর প্রশাসন।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
জানা গিয়েছে, গত তিনদিনে ৫৩৮ জন 'অনুপ্রবেশকারী'কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে সন্দেহভাজন কয়েকজন জঙ্গি। যার মধ্যে চারজন আবার সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ট্রেন ডি আরাগুয়ার সদস্য। এছাড়া সংখ্যালঘুদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে এমনও বেশ কয়েকজন রয়েছে ধৃতদের তালিকায়। এই গ্রেপ্তারির তথ্য বৃহস্পতিবার জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিয়াভিট। দেশের সুরক্ষার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন কীভাবে কাজ করছে তার উদাহরণ হিসাবে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, 'শয়ে শয়ে অনুপ্রবেশকারীকে সামরিক বিমানে আমেরিকার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসে সব থেকে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ অভিযান এই মুহূর্তে চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন কথা দেয়। কথা রাখে। আমাদের দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।'
২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচন জিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প। গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, আমেরিকার সোনালি যুগের শুরু। তারপর থেকে ক্ষমতায় ফিরে একের পর এক আদেশনামায় সই করে যাচ্ছেন তিনি। সূত্রের খবর, আগামী ৩০ দিনের মধ্যেই তাঁর সমস্ত আদেশ কার্যকর হবে।
এই আদেশনামার মধ্যে রয়েছে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করা। ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। তবে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। ট্রাম্পের এই আদেশকে পুরোপুরি অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিয়েছেন সিয়াটল আদালতের বিচারক।