সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি মাথায় উঠল। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে শুক্রবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়েও ট্রাম্প ও জেলেনস্কি একে অপরকে বাঁকা কথা বলেন। এমনকী এক সময় জেলেনস্কি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। এই ঘটনার পর সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প, জেলেনস্কি এবং পুতিনকে নিয়ে মিমের বন্যা বইছে। নেটাগরিকরা বলছেন, এবার মনে হয় ট্রাম্প-জেলেনস্কির 'যুদ্ধ' থামাতে পুতিনকে 'শান্তিদূত' বানাতে হবে!

দুই রাষ্ট্রনেতার নাটকীয় বৈঠক নিয়ে এক নেটিজেনের মন্তব্য, "ট্রাম্প যেভাবে জেলেনস্কিকে হেনস্তা করল তা দেখে জেনারেশন জেডের সতর্ক হওয়া উচিত। এই কারণেই নতুন প্রজন্মের জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা জরুরি বিষয়।" একজন লিখেছেন, "জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসে ঢুকেছিলেন নিজেকে নেতানিয়াহু ভেবে, শেষ পর্যন্ত আবিষ্কার করলেন তিনি আসলে জাস্টিন ট্রুডো।" হোয়াইট হাউসের কাণ্ড নিয়ে মিমে টম ক্রুজ অভিনীত হলিউডের একটি ছবি দৃশ্যকেও ব্যবহার করা হয়েছে। একটি মিমে দেখানো হয়েছে ট্রাম্প-জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠক নিয়ে ফোনালাপে ব্যস্ত রুশ প্রসিডেন্ট পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং, এমনকী জিনপিংয়ের সঙ্গে কিম জং উনের ফোনালাপও দেখানো হয়েছে।
ইন্টারনেটে জেলেনস্কিকে নিয়ে মিমের ছড়াছড়িতে রয়েছে---বৈঠক দেখে পুতিনের হাসিতে ঢলে পড়া। একটি ভিডিওতে ট্রাম্পের বকা খেয়ে জেলনস্কিকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছে। ট্রাম্প এবং জেডি ভান্স মিলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসের বাইরে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন, এমনটাও দেখা গিয়েছে মিমে। একটি মিমে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়ানো জেলেনস্কিকে বামন বানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে রাষ্ট্রশক্তি হিসাবে আমেরিকা যে অনেক বেশি শক্তিশালী, সেই কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটের মিমের বন্যায়। প্রতি ক্ষেত্রেই খাঁটো করা হয়েছে রাশিয়ার মতো বৃহৎশক্তির সঙ্গে বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ছোট দেশ ইউক্রেনকে।
প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে আমেরিকাকে বিরল খনিজ ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে তাঁর বদলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন জেলেনস্কি। যদিও সেই চুক্তি ভেস্তে গিয়েছে। জেলেনস্কির অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প কেবল খনিজেই আগ্রহী। ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। বরং তিনি রাশিয়ার সঙ্গে হাত মেলাতেও প্রস্তুত। সব মিলিয়ে এদিনের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতিও বিশ বাঁও জলে।