সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রের দৌড় থেকে সরবে তেহরান? কোন পথে আমেরিকা-ইরান সম্পর্কের 'রোড ম্যাপ'? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সকলেই তাকিয়ে ওমানের দিকে। শনিবার দু’দেশের মধ্যে পরমাণু কর্মসূচি বা পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। যে বৈঠক ঘিরে আগ্রহ তুঙ্গে। এদিকে বৈঠকের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, যদি ইরান পরমাণু অস্ত্রের দৌড় থেকে না সরে তাহলে তাদের নরকের দিকে যেতে হবে!

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ট্রাম্পের চূড়ান্ত লক্ষ্যই হল ইরান যাতে কখনওই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করা। আপাতভাবে সেজন্য কূটনৈতিক পথই অবলম্বন করতে চান তিনি। কিন্তু আলোচনায় সুরাহা না হলে সব পথই খোলা আছে। তাঁর কথায়, ''উনি ইরানকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, সব পথই খোলা রয়েছে। ইরানকে এবার বেছে নিতে হবে তারা কী চায়। হয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি মেনে নাও অথবা নরকে যাও। প্রেসিডেন্ট এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। এব্যাপারে তিনি অত্যন্ত কঠোর।''
২০১৫-তে হওয়া এক চুক্তিতে ইরান জানায় যে কোনও রকমের পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ রাখবে তারা। কিন্তু ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন, শর্ত না মেনে গোপনে আণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে ইরান। এরপর ২০২০ সালে ট্রাম্প জমানায় নিহত হন ইরানের ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানি। সেবছরের ৩ জানুয়ারি ট্রাম্পের নির্দেশেই বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলা হয়। সোলেমানি-সহ প্রাণ যায় ৮ জনের। পালটা মার্কিন সেনাঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছিল ইরানের সেনা। সেই থেকেই দুদেশের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়। এবার গাজায় হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে। ট্রাম্পের নয়া ‘শুল্কবাণে’র প্রভাবও পড়ছে ইরানের অর্থনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে সকলের নজর শনিবাসরীয় বৈঠকের দিকে।