সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বদলা নিতে ফুঁসছিল ইজরায়েল। ঘনাচ্ছিল পালটা আক্রমণের 'সিঁদুরে মেঘ'। অবশেষে শনিবার ইরানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে একশো এফ-৩৫আই জেটের সাহায্যে হামলা চালাল তেল আভিভ। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যমের সূত্রানুসারে, তিন দফায় হামলা চালিয়েছিল নেতানিয়াহুর দেশ। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা পরিষ্কার করে দিল, যদি এই হামলার জবাব দেয় ইরান, তাহলে ইজরায়েলের পাশেই থাকবে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র আধিকারিকের দাবি, ''আমরা ইরানকে পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই যে তাদের তরফে কোনও রকমের প্রত্যুত্তর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষায় বাধ্য করবে আমেরিকাকে।'' সেই সঙ্গেই বাইডেন প্রশাসনের ওই প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের হামলা আসলে সমানুপাতিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। এবং তা দুই দেশের মধ্যে আগুন বিনিময়ে সমাপ্তি আনবে। এবং এই পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ, সবরকমের যোগাযোগে তারা আগ্রহী।
উল্লেখ্য, ১০০ যুদ্ধবিমান নিয়ে ইরানের সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। তবে এই হামলায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। হামলার কথা ঘোষণা করে আইডিএফ বিবৃতি জানায়, ‘আমরা ইরানের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছি।’ তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষিতেই যে আক্রমণ শানিয়েছে তারা তা স্পষ্ট। ইরান ও আমেরিকার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফার আক্রমণে 'টার্গেট' করা হয়েছে বায়ুপথের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। পরের দুই দফায় যাথাক্রমে মিসাইল ও ড্রোন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, ইজরায়েল যে আঘাত হেনেছে তার মোক্ষম জবাব দিতে প্রস্তুত ইরানি সেনা। কড়া ভাষায় ইরান জানিয়ে দিয়েছে, ‘এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, এই আগ্রাসী পদক্ষেপের জন্য ইজরায়েলকে ভুগতে হবে। আমরা এর জবাব দিতে প্রস্তুত।’ ইতিমধ্যেই ওই হামলার পর আকাশসীমা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে ইরান এবং আরও দুই দেশ সিরিয়া, ইরাক।