সুলয়া সিংহ: জার্মানির রুর নদীর তীরে অবস্থিত এক শহর এসেন। জনসংখ্যা সাড়ে ৬ লক্ষের সামান্য বেশি। কিন্তু এখানেও রয়েছে বাঙালি। আর সেই বাঙালিদের আয়োজনেই এবার দুর্গাপুজো হচ্ছে এখানে। তবুও মনখারাপ উদ্যোক্তাদের। কেনই বা হবে না? কুমোরটুলিতে মিন্টু পালের কাছে বরাত দেওয়া হয়েছিল। যথাসময়ে প্রতিমা তৈরিও হয়ে যায়। পাড়িও দেয়। কিন্তু এসে পৌঁছয়নি। অগত্যা ছোট প্রতিমা দিয়েই সারতে হচ্ছে পুজো।
কিন্তু কেন? আসলে গত দুমাস ধরে নেদারল্যান্ডসের রটারডাম বন্দরে আটকে রয়েছে কুমোরটুলি থেকে পাঠানো প্রতিমা। এখনও স্ক্যান করছে কাস্টমস। একই ভাবে নেদারল্যান্ডসেরও একটি প্রতিমা আটকে রয়েছে এই গেরোয়। ফলে পুজো করতে হচ্ছে ছোট প্রতিমা রেখেই। আর সেই কারণেই মনখারাপ পুজোর উদ্যোক্তাদের। তবে মনখারাপ যতই থাকুক, ষষ্ঠীর দিন থেকেই নিয়ম মেনে আয়োজন হয়েছে পুজোর।
জার্মানির ডর্টমুন্ডের পরে রুর অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর এসেন। একে রুরের সিক্রেট ক্যাপিটালও বলেন অনেকে। জার্মানির বৃহত্তম শহরের তালিকায় নয় নম্বরে রয়েছে এই শহর। আর এখানেই এই প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছেন এখানকার বঙ্গ সম্প্রদায়।
জানা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রায় শ দুয়েক মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন পুজোর সঙ্গে। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমার পাশাপাশি আরও সামগ্রী গিয়েছে কলকাতা থেকেই। কিন্তু শেষপর্যন্ত প্রতিমা না পৌঁছনোয় সকলেই বিষণ্ণ। তবু নিয়ম ও নিষ্ঠা মেনেই হয়েছে পুজো।