কুণাল ঘোষ এবং কিংশুক প্রামাণিক (লন্ডন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী): অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সভায় তাণ্ডব চালানো বাম-অতিবামদের তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এক্স হ্যান্ডেলে সাফ বার্তা, রাজ্যের গর্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে বদ্ধপরিকর তিনি। বিলেত থেকে ফেরার দিন মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'বিশ্বের আঙিনায় প্রগতির ধ্বনি/নবজাগরণের সুরে বাজে আগমনী/উন্নয়নের আলো মেঘে ঢাকবে না/মাতঙ্গিনীর বাংলা কভু হারবে না।' এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন,"ছেলেবেলায় বাবাকে হারানোর পর থেকেই জীবন একটা যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ছাত্রনেত্রী হিসেবে লড়াই করেছি। বিরোধী নেত্রী হিসেবে যুদ্ধ চলেছে। এখন সরকারের প্রধান হয়েও সেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমি ভয়ে কখনও লড়াই থেকে পালিয়ে যায়নি। ভবিষ্যতেও পালাব না। তবে কাউকে বাংলার গর্ব খর্ব করতে দেব না। রাজ্যের অগ্রগতির জন্য আত্মত্যাগকে ব্যর্থ হতে দেব না।' একইসঙ্গে তিনি জানান, অক্সফোর্ডের পড়ুয়া, স্কলার, অধ্যাপক, শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলি তাঁর মনের মণিকোঠায় অমলিন হয়ে থেকে যাবে।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ডে কেলগ কলেজে বক্তৃতা রাখার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মমতা। সেইমতো শুক্রবার সেখানে বক্তব্য রাকেন। তাঁর বক্তৃতা চলাকালীনই ছ'জন বাম-অতি বাম আন্দোলনকারীরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। সভা ভণ্ডুলের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পরে কার্যত ঘাড়ধাক্কা খেয়ে কেলগ কলেজের সভাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে তথাকথিত এসএফআই সমর্থকদের। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছিলেন, "এটা রাজনীতির মঞ্চ নয়। দেশের অপমান করবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপমান করবেন না।" সাফ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বিরোধিতা করে তাঁকে থামানো যাবে না। বরং বিরোধিতা তাঁকে আরও উৎসাহিত করে। এগিয়ে চলার রসদ জোগায়। এদিনের এক্স হ্যান্ডেল বার্তায় আরও একবার সেই কথাই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কোনওভাবেই কোনও পরিস্থিতিতে বাংলার অপমান তিনি সহ্য করবেন না।