shono
Advertisement
NATO

রাশিয়াকে রুখতে এবার ড্রোনের প্রাচীর গড়বে ন্যাটো!

ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বাল্টিক দেশগুলো।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 03:34 PM May 25, 2024Updated: 03:35 PM May 25, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়াকে রুখতে এবার ড্রোনের প্রাচীর তৈরি করছে ন্যাটো দেশগুলো! ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন বাল্টিক দেশগুলো। যার মধ্যে অন্যতম লিথুয়ানিয়া। শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শত্রুদেশের ফৌজকে রুখে দিতে সীমান্তে ড্রোনের প্রাচীর গড়ার চিন্তাভাবনা চলছে। বিশ্লেষকদের মতে, "আগ্রাসী' মস্কোর দিকেই যে লিথুয়ানিয়ার নিশানা তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement

গত দুবছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। এই সংঘাতের ফলে প্রশ্ন উঠছে রুশ সীমান্তবর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও। সম্প্রতি জঙ্গি হামলা, অনুপ্রবেশ, পাচার রুখতে রুশ সীমান্তবর্তী ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আলোচনায় বসে। এই বৈঠকে লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে ছিল এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, নরওয়ে, পোল্যান্ডের মত দেশও। এদিন আলোচনার পর লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাগ্নে বিলোতাইতে ঘোষণা করেন, "বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনার পর একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। নরওয়ে থেকে পোল্যান্ড পর্যন্ত একটি ড্রোনের প্রাচীর তৈরি করা হবে। এই ড্রোন ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের সীমান্তগুলোর সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে।"

[আরও পড়ুন: ‘সহস্রাব্দের প্রথম সন্ত’ হবে ইটালির কিশোর, ‘অলৌকিক মহিমা’র স্বীকৃতি পোপ ফ্রান্সিসের

একই সঙ্গে শক্তিশালী পরিকাঠামো ও উন্নত নজরদারি ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে অ্যাগ্নে বলেন, "আমরা সব সময় চাই শত্রু দেশ থেকে আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে। যে কোনও উস্কানিমূলক পরিস্থিতি ঠেকাতে ও পাচার আটকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শত্রুপক্ষের 'হানাদার' যান আটকাতে সীমান্তে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেমও মোতায়েন করা হবে।" তবে কবে থেকে এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে তা স্পষ্টভাবে জানাননি অ্যাগ্নে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকমাসে ইউক্রেনের আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এবার খারকভের দিকে অগ্রসর হচ্ছে রুশ ফৌজ। হামলা বাড়ছে যুদ্ধের এই গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টে। যার মোকাবিলা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কিয়েভকে। তাই প্রবল চাপের মুখে খারকভ থেকে পিছু হঠছে ইউক্রেনীয় বাহিনী! ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে খারকভ দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু রণক্ষেত্রে পালটা মার দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই শহর পুনরুদ্ধার করে নিয়েছিল ইউক্রেনীয় ফৌজ। তবে এবার হারানো জমি ফের দখল করতে খারকভে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে রুশবাহিনী। এই পরিস্থিতিতে প্রবল চাপের মুখে সীমান্তের বেশ কিছু গ্রাম থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গত দুবছর ধরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। এই সংঘাতের ফলে প্রশ্ন উঠছে রুশ সীমান্তবর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও।
  • শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শত্রুদেশের ফৌজকে রুখে দিতে সীমান্তে ড্রোনের প্রাচীর গড়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
  • বিশ্লেষকদের মতে, "আগ্রাসী' মস্কোর দিকেই যে লিথুয়ানিয়ার নিশানা তা বলাই বাহুল্য।
Advertisement