সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্কারজয়ী প্যালেস্তিনীয় পরিচালককে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখল ইজরায়েলি সেনা! জানা গিয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে থাকাকালীন গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিখ্যাত পরিচালককে। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। গোটা ঘটনাটি নিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে চায়নি ইজরায়েলি সেনা। উল্লেখ্য, চলতি বছরেই অস্কার জিতেছেন হামদান বাল্লাল নামে ওই প্যালেস্তিনীয় চিত্রপরিচালক।

জানা গিয়েছে, সোমবার প্যালেস্টাইনের মাসাফের ইয়াট্টা এলাকার সুসিয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন ইজরায়েলি। গ্রামে ঢুকে ভাঙচুর চালায় তারা। স্থানীয়দের মারধরও করেন। বেধড়ক মার খেয়ে হামদানের মাথা এবং পেট থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেসময়েই ইজরায়েলি সেনা তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তারপর অস্কারজয়ী পরিচালককে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত কোথায় কেমন অবস্থায় রয়েছেন হামদান, সেই নিয়ে কিছুই জানা যায়নি।
অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র 'নো আদার ল্যান্ড'-এ হামদানের সহকারী বাসেল আদ্রা জানিয়েছেন, রমজানের উপবাস ভাঙার পরেই অন্তত ২৫ জন অস্ত্রধারী ইজরায়েলি গ্রামে ঢুকে আক্রমণ করে। পরে ঘটনাস্থলে আসে ইজরায়েলি সেনা। তারা বন্দুক উঁচিয়ে ছিল আর অন্যরা পাথর ছুড়ছিল গ্রামবাসীদের দিকে। সেই সময়েই গুরতর আহত অবস্থায় হামদানের চোখ বেঁধে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয়। সেখানেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইজরায়েলি সেনা। বাসেলের কথায়, এখনও হামদানের বাড়ির সামনে তাঁর রক্তের চিহ্ন পড়ে রয়েছে।
ইজরায়েলি সেনার দাবি, ওই গ্রামের বাসিন্দারা পাথর ছুঁড়ছিল বাহিনীর দিকে। তারপর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু হামদানকে নিয়ে আর কিছু বলা হয়নি ইজরায়েলি বাহিনীর তরফে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই অস্কারে সেরা তথ্যচিত্র হিসাবে পুরস্কৃত হয়েছে 'নো আদার ল্যান্ড'। ১৯৬৭ সাল থেকে ইজরায়েলি ফৌজের দখলে থাকা মাসাফের ইয়াট্টার আমজনতার দুর্বিষহ জীবনের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে ওই তথ্যচিত্রে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নানা জায়গায় প্রশংসিত হয়েছে ছবিটি। কিন্তু এই ছবি বানানোর 'অপরাধে'ই হামদানের উপর নির্মম অত্যাচার হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁর সহকর্মীরা।