সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ থেকে রাশিয়ার তাতারস্তানের কাজানে শুরু হচ্ছে ব্রিকস সামিট। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে যোগ দিতে বন্ধু ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়ার অন্যতম ঐতিহ্যময় শহর কাজানের বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর বিমান। সেখানে নমোকে লাল কার্পেটে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয়। তাঁকে স্বাগত জানান তাতারস্তানের প্রধান রুস্তম মিন্নিখানভ। মোদির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কাজানের বাসিন্দারাও। হোটেলে নমোকে কৃষ্ণভজনে স্বাগত জানান তাঁরা। সকলের পরনে ছিল ভারতীয় পোশাক।
প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় দ্বিতীয়বার রাশিয়ার মাটিতে পা রাখলেন মোদি। দুদিন সেদেশে থাকবেন তিনি। কাজান শহরের কোরস্তোনের একটি হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর থাকার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নমোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন প্রবাসী ভারতীয়রা। হোটেলে পৌঁছতেই তাঁদেরকে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মোদি। তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর পাশাপাশি সেলফিও তুলতে দেখা যায় সকলকে। এছাড়া মোদিকে স্বাগত জানাতে ভারতীয় নৃত্য পরিবেশন করেন রুশ নাগরিকরা। তাঁদের সাজপোশাকেও ছিল ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া। ওই নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে আলাদা করে সৌজন্য বিনিময় করেন মোদি।
আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু করে দুদিন কাজানে চলবে ব্রিকস সামিট। জানা গিয়েছে, সম্মেলনের ফাঁকে রুশ প্রেসিডন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদি। সূত্রের খবর, সামিট চলাকালীনই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও। এদিন সফর শুরুর আগে মোদি বলেন, “গত জুলাই মাসে আমি রাশিয়ায় গিয়ে শীর্ষ স্তরের বৈঠক করেছিলাম। এখন সেই সুসম্পর্ককেই আরও মজবুত করবে। সেই সঙ্গেই ব্রিকসের অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করব।”
ভারত, চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠী। প্রত্যেক বছর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কোনও না কোনও সদস্য দেশ ব্রিকস সম্মেলনের আয়োজন করে। গত বছরের আগস্ট মাসে এই সামিটের আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। এবছর ১৬তম ব্রিকস সামিটের আয়োজক দেশ রাশিয়া। ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর কাজানে হচ্ছে এই সম্মেলন। প্রসঙ্গত, গত বছর ভারচুয়ালি ব্রিকসে অংশ নিয়েছিলেন পুতিন।
তবে এবছর ব্রিকস সামিটে বিশেষ নজর থাকবে বিশ্বের নানা স্থানে যুদ্ধ পরিস্থিতির উপর। মনে করা হচ্ছে, চলমান যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে পারেন মোদি-পুতিন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনেও উঠতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের প্রসঙ্গ। ফলে মোদির সফর ও ব্রিকস সামিটের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে ইউক্রেনও। এছাড়াও আলোচনা হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে।