সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধে কি ভয় পেয়ে পিছু হটলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? বুধবার গভীর রাতে বর্ধিত শুল্কহার আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, যুদ্ধং দেহি মেজাজ থেকে সরে এসে কেন শুল্ক না চাপানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তাহলে কি ভয় পাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

বুধবার নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প জানান, শুল্ক ঘোষণার পরে ৭৫টিরও বেশি দেশ যোগাযোগ করেছে আমেরিকার সঙ্গে। পালটা শুল্ক চাপায়নি তারা। তাই আগামী ৯০ দিন ওই দেশগুলির উপরে বর্ধিত শুল্কহার কার্যকর হবে না। এছাড়াও তাদের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক কমানো হবে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় স্বভাবতই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে ভারত। গত ২ এপ্রিল ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল আমেরিকা। আপাতত সেই কর গুণতে হবে না ভারতকে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প? সূত্রের খবর, বিপুল শুল্ক হার নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের দলের নেতারাই ভেবেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন আচরণে বড়সড় বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে বিশ্বজুড়ে। তার প্রভাব পড়বে বাজারে। শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই যেভাবে আমেরিকা-সহ নানা দেশের বাজারে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে, কর কার্যকর হলে সেটা আরও বাড়বে বলেই মত বিশ্লেষকদের। বাজারে মন্দা হলে কর্মক্ষেত্র থেকে ছাঁটাইয়ের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে। এই বিষয়গুলি তুলে ধরা হয় ট্রাম্পের কাছে।
তবে এই যুক্তিও হার মেনেছিল ট্রাম্পের জেদের কাছে। পরে মার্কিন রাজস্ব দপ্তরের তরফে জানানো হয়, বাজারে শক্তি হারাচ্ছে বন্ড। অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে মার্কিন বন্ড ঘিরে। তার জেরে নড়ে যেতে পারে মার্কিন অর্থনীতির ভিত। সেই কথা শুনেই অবশেষে শুল্ক কার্যকরের ঘোষণা আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। যদিও এমনটা মানতে নারাজ তিনি। উল্লেখ্য, চিন নিয়ে একেবারে উলটো অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সবমিলিয়ে ১২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন চিনের উপরে।