সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত নয়, সাগরপথের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বাংলাদেশের হাতেই। সেটা ‘চিনা আগ্রাসনে’র বিরাট সুযোগ! চিন সফরে গিয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহাম্মদ ইউনুস। এবার তার পালটা সুর চড়ালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর কথায়, বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে বড় উপকূল রয়েছে ভারতেরই।
বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ককে পৌঁছে গিয়েছেন জয়শংকর। বৃহস্পতিবার সেখানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তার আগেই ইউনুসের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিদেশমন্ত্রী। জয়শংকরের কথায়, "বঙ্গোপসাগরের তীরে ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার উপকূলরেখা রয়েছে ভারতের। বিমস্টেকের পাঁচ সদস্য দেশের সঙ্গে সীমানা ভাগ করি আমরা। অধিকাংশ সদস্য দেশের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের সঙ্গেই বিমস্টেক সদস্য দেশগুলির যোগাযোগ রয়েছে।"
জয়শংকর আরও বলেন, "এই বৃহত্তর ভৌগলিক ক্ষেত্রে যেন সুষ্ঠুভাবে পণ্য পরিবহণ এবং অন্যান্য কাজ চলতে পারে, তার জন্য সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন সেটা আমরা জানি। সেই কথা মাথায় রেখেই গত ১০ বছর ধরে বিমস্টেককে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। তবে আমরা এটাও বিশ্বাস করি, সহযোগিতা বজায় রাখতে সকলের একজোট থাকা দরকার। যেখানে ফায়দা, শুধু সেখানেই মন দিলাম সেটা তো হয় না।" ইউনুসের নাম না করলেও, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে মাথায় রেখেই জয়শংকর এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, চারদিনের জন্য চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনুস। সেখান থেকেই তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে নোবেলজয়ীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোংলায় আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা ইতিমধ্যেই ভেবে ফেলেছে চিন।