shono
Advertisement

কাবুলের স্কুলে পরপর বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ছয়, জখম বহু

বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী।
Posted: 01:30 PM Apr 19, 2022Updated: 01:52 PM Apr 19, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নাশকতার নিশানায় আফগানিস্তানের (Afghanistan) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার বেলায় জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুলের (Kabul Blast)  একাধিক স্কুল। কাবুলিওয়ালার দেশ থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম বহু। তবে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী।

Advertisement

পশ্চিম কাবুলের (Western Kabul) মুমতাজ স্কুল চত্বর থেকে প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের খবর মিলেছে দাস্ত-এ-বারচি এলাকার একটি স্কুল থেকে। তবে অন্য একটি সূত্রের খবর, একটি স্কুলেই পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয়। এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

[আরও পড়ুন: রাজস্থানের বিরুদ্ধে হারের দিনই প্রকাশ্যে কেকেআরের কোচ-অধিনায়কের দ্বন্দ্ব! ভাইরাল ভিডিও]

স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে যাদের আনা হয়েছিল তাদের মধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ১৪ জন। এ প্রসঙ্গে কাবুলের কমান্ডারের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, “একটি হাই স্কুলে পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।” কাবুলের যে অংশে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে মূলত শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় নাশকতার ঘটনা ঘটে থাকে। এবার নাশকতার নিশানায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

 

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে তুঙ্গে পৌঁছেছে ইসলামিক স্টেট (ISIS) বনাম তালিবান লড়াই। কয়েকদিন আগে ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমর খোরাসানিকে হত্যা করে তালিবান। গত আগস্ট মাসে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ইসলামিক স্টেট। এই বিস্ফোরণের পিছনেও খোরাসানের দায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা।

[আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের পানীয় জল বিনামূল্যে, আরও ৩ সুপারিশ স্বাস্থ্য কমিশনের]

বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement