সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেহের বশে প্রেমিককে খুন করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) এক মহিলা পুলিশকর্মী। অভিযোগ, পুরুষ সঙ্গীর পাজামার পকেটে কন্ডোমের প্যাকেট পান তিনি। যার পর বচসা শুরু হয় উভয়ের মধ্যে। তারপরেই প্রেমিককে গুলি করে খুন করেন তিনি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ডারবান (Durban) শহরে। অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডারবান পুলিশ জানিয়েছে, কোয়াজুলু-নাটাল এলাকায় ডারবান হারবার থানায় কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মী। খুনের ঘটনাটি ঘটে ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার। তদন্তে জানা গিয়েছে, মর্মান্তিক ঘটনার দিন মহিলা তার পুরুষ সঙ্গীর পাজামার পকেটে একটি কন্ডোমের প্যাকেট খুঁজে পান। এরপরই দু’জনের মধ্যে চরম অশান্তি শুরু হয়। রাগের মাথায় সার্ভিস রিভালভার দিয়ে সঙ্গীকে হত্যা করেন পুলিশকর্মী।
[আরও পড়ুন: হিজাব কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল ইরান, পুলিশি গুলি, নির্যাতনে মৃত ৯ বিক্ষোভকারী]
‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট পুলিশ ইনভেস্টিগেটিভ ডিরেক্টরেট’-এর মুখপাত্র লিজি সাপিং জানান, ১৮ সেপ্টেম্বরে অশান্তির পর সঙ্গীকে গুলি করেন মহিলা পুলিশকর্মী। এরপর আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। খুনের অস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২০ অক্টোবর প্রথমবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলে পুলিশ। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযুক্ত মহিলাকে হেফাজতে চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
[আরও পড়ুন: ১৮ থেকে ৬৫’র পুরুষদের দেশ ছাড়া মানা, রাশিয়ায় জারি হতে পারে জরুরি অবস্থা]
সন্দেহের বশে খুনের ঘটনা আকছাড় ঘটে থাকে। পর্ন ফিল্ম (Porn Film) দেখার আসক্তি থেকে ক’দিন আগে ভয়ংকর কাণ্ড ঘটায় বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) এক ব্যক্তি। নিয়মিত পর্ন ফিল্ম দেখা ওই ব্যক্তির হঠাৎ মনে হয় তাঁর স্ত্রীও বুঝি পর্ন ফিল্মে কাজ করেন। এই সন্দেহ থেকেই স্ত্রীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। পুলিশ জানায়, রামনগর শহরতলিতে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত বছর চল্লিশের জাহির পাশা পেশায় অটোচালক। নিয়মিত পর্ন ফিল্ম দেখতেন। মাস দু’য়েক আগে একটি পর্ন ফিল্ম দেখার পরে তাঁর মনে হয় স্ত্রী মুবিনাও বুঝি পর্ন ফিল্মে কাজ করেন। এরপর থেকে স্ত্রীকে নির্যাতন করা শুরু করেন তিনি। রবিবার একই অভিযোগে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা করেন জাহির। শেষে রাগের মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন স্ত্রী মুবিনাকে।