সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতি। ইতিহাস নির্মিত হয়েছে থাইল্যান্ডে। আর তারপরই বৃহস্পতিবার সেদেশে অসংখ্য সমকামী যুগল গাঁটছড়া বাঁধলেন।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
'ব্যাঙ্কক প্রাইড' নামে সেদেশের এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে দুশোরও বেশি যুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। থাইল্যান্ড প্রগতিশীল দেশ হিসেবেই পরিচিত। সাধারণত সেখানে কোনও ধরনের গোঁড়ামি দেখা যায় না। তবে সমলিঙ্গ বিয়ের এই স্বীকৃতি সহজে আসেনি। দীর্ঘ আন্দোলনের পর আইনে পরিণত হল স্বতন্ত্র ব্যক্তির সমলিঙ্গের বৈবাহিক আইন। ভারতের মতোই সে দেশেও মূল প্রশ্ন ছিল, সাধারণ জনতা সমলিঙ্গের বিয়েকে কীভাবে গ্রহণ করবে।
এর মধ্যেই গত জুনে থাইল্যান্ডের সেনেট আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল সমলিঙ্গ বিবাহকে। সেনেটের ১৫২ সদস্যের মধ্যে ১৩০ জন ভিন্ন ধারার বিয়ের পক্ষে ভোট দেন। বিরোধিতা করেন ৪ জন। ভোটাভুটিতে অংশ নেননি ১৮ জন সদস্য। এরপর রাজা মহা বাজিরালংকর্ণের স্বাক্ষর। অবশেষে মিলেছে পূর্ণ স্বীকৃতি। এই বিয়ে সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বিলে উল্লেখ করা হয়েছিল, একজন ব্যক্তি যে কোনও লিঙ্গের মানুষকে বিয়ে করতে পারেন। এর জন্য কোনও অধিকার থেকেই বঞ্চিত হবেন না তাঁরা। তবে স্বামী-স্ত্রী বলে কাউকে চিহ্নিত করা হবে না। বদলে ‘ম্যারেজ পার্টনার’ বা ‘বিবাহিত সঙ্গী’ বলা হবে। অন্যদিকে বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষ বা মহিলা নয়, ইন্ডিভিজুয়াল বা স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করা হবে।
এই স্বীকৃতিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মন্তব্য করেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়টংটার্ন শিনাওয়াত্রা। তিনি বলেছেন, ''লিঙ্গবৈচিত্র সম্পর্কে সমাজের বৃহত্তর জনসচেতনতার সূচনা করবে এই আইন। যৌনসঙ্গী নির্বাচন, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সকলকেই আপন করে নিই। সমান অধিকার এবং সমান মর্যাদা প্রাপ্য সবার।''