কুণাল ঘোষ (লন্ডন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী): আমন্ত্রণে সাড়া। অক্সফোর্ড (Oxford) বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে রওনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। সেখানে রাজ্যে নারী ক্ষমতায়নে তৃণমূল সরকারের উন্নয়ন যজ্ঞের কথা তুলে ধরবেন তিনি। স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটা (ভারতীয় সময় রাত সাড়ে দশটা) নাগাদ শুরু হবে অনুষ্ঠান। তার আগে ৯২৯ বছর পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখবেন মমতা। তাঁর বার্তা শুনতে উন্মুখ অক্সফোর্ড।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাসে অক্সফোর্ডের উদ্দেশে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাসে বেশ খোশমেজাজেই ধরা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 'দিদি'র মতোই সকলের সঙ্গে কথা বলেন। সকলে সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছেন কিনা, সেই খোঁজ নেন। লন্ডনে এই মুহূর্তে কনকনে ঠান্ডা। তাই সকলের সঙ্গে গরম জল আছে কিনা তাও জেনে নেন 'অভিভাবক' মমতা। মমতা যে ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রেক্ষাগৃহে বক্তব্য রাখবেন সেখানে বাঙালি হিসাবে এর আগে শেষ ভাষণ দিয়েছেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। এমন ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ পেয়েও আলাদা করে প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং চেনা মেজাজেই রয়েছেন।
সারা রাস্তা বাসে বাংলা গানের উৎসবের মধ্যে দিয়ে অক্সফোর্ডে মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অনুরোধে পর পর গান গাইলেন সাংবাদিকরা। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে অতুলপ্রসাদ, আধুনিক, সবরকম গানেই জমে ওঠে সফর।লন্ডনের (London) সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা, ভারতীয় সময় রাত সাড়ে দশটায় শুরু হবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ-পর্ব। লন্ডনের রাস্তায় ইদানীং বেশ যানজট হয়। তাই সড়কপথে অক্সফোর্ড যেতে অন্তত দু’ঘণ্টা লাগতে পারে। তাই বক্তৃতা শুরু হওয়ার অন্তত ঘণ্টা চারেক আগেই অক্সফোর্ডে পৌঁছে যাবেন তিনি। অনেকটা সময় ধরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) ঘুরিয়ে দেখানো হবে গোটা অক্সফোর্ড (Oxford)। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ভুবনবিখ্যাত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরমহলের নানা বিষয় দেখাতে। বিশেষ করে জগদ্বিখ্যাত অক্সফোর্ড লাইব্রেরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিভাগ যেখানে বিভিন্ন দশকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট গুণীজনেরা এসে পঠন-পাঠনে অংশ নিয়েছেন, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে মমতাকে। বক্তৃতা শুরুর আগেই অক্সফোর্ডের গবেষক-অধ্যাপকদের সঙ্গেও দেখা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অক্সফোর্ডের কর্মসূচি সেরে রাতেই লন্ডনে ফিরবেন তিনি। পরদিন শুক্রবার হিথরো বিমানবন্দর থেকেই তাঁর কলকাতায় ফেরার উড়ান।