সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারা গেল পৃথিবীর ‘সবচেয়ে দুঃখী’ হাতি। ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার (Manila) এক চিড়িয়াখানায় থাকত সে। তার নাম মালি। বয়স আনুমানিক ৪৩ বছর। যদিও হাতিটির সঠিক বয়স জানা যায় না।
কিন্তু কেন এই হাতিটিকে পৃথিবীর ‘সবচেয়ে দুঃখী’ হাতি বলা হত? আসলে দশকের পর দশক একলাই থাকতে হয়েছে মালিকে। সারা বিশ্ব জুড়েই দাবি উঠেছে হাতিটিকে (Elephant) অন্যত্র স্থানান্তরিত করার। ২০১২ সালে ‘বিটলস’ খ্যাত পল ম্যাককার্টনি ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছেন, মালিকে মুক্তি দিতে এবং অন্য কোনও দেশে পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু কোনও আর্জিতেই কাজ হয়নি।
[আরও পড়ুন: হল না দেখা! উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে ছেলে ফেরার আগেই মৃত্যু বাবার]
ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, অন্ত্রের ক্যানসারে ভুগছিল মালি। কদিন ধরেই তাকে দেখা যাচ্ছিল একটি দেওয়ালে লাগাতার শুঁড় ঘষতে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছিল প্রবল শ্বাসকষ্টও। সংবাদ সংস্থা বিবিসি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৯৮১ সালে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন মালিকে উপহারস্বরূপ দেয় ফিলিপিন্সের ফার্স্ট লেডি ইমেল্ডা মার্কোসকে। মনে করা হয় সেই সময় হাতিটির বয়স ছিল মাত্র ১১ মাস।
এর আগে ইমেল্ডার কাছে আরও একটি হাতি ছিল। তার নাম শিবা। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সে ওই চিড়িয়াখানায় ছিল। তার মৃত্যুর পর থেকে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হয়েছে মালিকে। অবশেষে শেষ হল তার সেই একাকীত্বের জ্বালা। নিঃসঙ্গ জীবনের শেষে মালি পাড়ি দিল না ফেরার দেশে। যেখানে সবাইকে একাই যেতে হয়।