সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও সামনে এল এক নেতার জঙ্গিযোগ। ‘কখনওই বুরহান ওয়ানিকে মরতে দিতাম না’। শুক্রবার নিহত হিজবুল জঙ্গির সমর্থন করে এমনটাই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন সোজ। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন যে বেঁচে থাকলে ওয়ানির সঙ্গে আলোচনায় বসতেন তিনি।
“আমার ক্ষমতা থাকলে বুরহানকে মরতে দিতাম না। তার সঙ্গে আলোচনা চালাতে চেয়েছিলাম আমি। পাকিস্তান, ভারত ও কাশ্মীরের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারত সে। কাশ্মীরের জনগণের বেদনা আমাদের বুঝতে হবে।” এমনটাই বক্তব্য সইফুদ্দিন সোজের।ইতিমধ্যে তাঁর বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র বিতর্কের।একাংশের অভিযোগ, জঙ্গিদের সঙ্গে দহরম-মহরম রয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের।এদিনের মন্তব্যে সেই সম্ভাবনাকেই আরও জোরাল করলেন সোজ। ইতিমধ্যে, কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন সোজের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নির্মল সিং। যাঁরা জঙ্গিদের নেতা বলে ডাকে তাঁরা আসলে ঘুরিয়ে জঙ্গিদের হয়েই প্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তাঁর। জঙ্গিদের প্রতি জঙ্গিদের মতোই আচরণ করা উচিত, সাফ জানিয়ে দেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মে মাসেই একাধিক সর্বভারতীয় চ্যানেলে স্টিং অপারেশনে কাশ্মীরের টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদ ও অন্য পাকিস্তানি ব্যক্তিদের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড প্রকাশ্যে এসেছিল৷ উঠে এসেছিল সৈয়দ আলি, নইম খান, গাজি জাভেদ বাবা এবং ফারুক আহমেদ দার ওরফে বিট্টা কারাটের মতো প্রথম সারির হুরিয়ত নেতার নামও। তারপরই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তারপরই আটক করা হয় হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির জামাইকে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের দাবি, উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি জড়িত গিলানির জামাই আলতাফ আহমেদ শাহ ওরফে আলতাফ ফান্টুস। ঘটনায় আরও দুই হুরিয়ত নেতা আয়াজ আকবর ও মেহরাজউদ্দিন কালওয়ালকেও আটক করা হয়। উল্লেখ্য, গতবছর কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর হাতে নিকেশ হয় হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানি। তারপর থেকেই আগুন জ্বলে ওঠে উপত্যকায়।
[হুরিয়ত নেতা গিলানির জামাইকে আটক করল NIA]
The post ‘বুরহানকে মরতে দিতাম না’, বিস্ফোরক মন্তব্য কংগ্রেস নেতার appeared first on Sangbad Pratidin.