সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই হয়তো বলে 'চোরে চোরে মাসতুতো ভাই!' বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর লিকার ব্যারন পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়ার জন্মদিনে টুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন আইপিএলের অপসারিত চেয়ারম্যান অর্থ নয়ছয়ে অভিযুক্ত ললিত মোদি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, "আমরা জীবনের বহু ওঠা-পড়া দেখেছি।" মালিয়ার পালটা টুইট করেন, "আমাদের দুজনের সঙ্গেই অবিচার হয়েছে, অথচ দেশের প্রতি অবদান রয়েছে।"
এখানেই না থেকে বিজয় মালিয়া আরও টুইট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ৬,২০৩ কোটি টাকার ঋণের বিপরীতে ইতিমধ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পরেও আর্থিক তছরুপের অপরাধী তিনি। অথচ ইডি এবং ব্যাঙ্কগুলি দুই গুণের বেশি অর্থ বাজেয়াপ্ত করে ফেলেছে। লিকার ব্যারন তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। মালিয়ার বক্তব্য, অন্য অনেকের মতোই সিবিআই আমাকে অভিযুক্ত করেছে। আইডিবিআই ব্যাঙ্ক থেকে ৯০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কমিটি এবং বোর্ড ওই ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল। সুদ-সহ ঋণ পরিশোধও করা হয়েছে। পলাতক শিল্পপতি প্রশ্ন তোলেন, "৯ বছর পরেও কেন জালিয়াতি ও তহবিল তছরুপের কোনও প্রমাণ নেই?" মালিয়ার এই টুইটের উত্তরে ললিত মোদি লেখেন, বন্ধু "এই (খারাপ) সময় কেটে যাবে।"
মঙ্গলবারই লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, সারা দেশে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের ২২,২৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ব্যাঙ্কে ফেরানো হয়েছে। এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন বিজয় মালিয়া। তাঁর ১৪,১৩১.৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফেরানো হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে পলাতক হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি। তাঁর ১,০৫২.৫৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা সরাসরি ভুক্তভোগীদের এবং বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেহুল চোক্সির ২,৫৬৫.৯০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিলের ৪০২৫ কোটি, রোজ ভ্যালির ১৯.৪ কোটি, ন্যাশনাল স্পট এক্সচেঞ্জের ১৭.৪৭ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করে ব্যাঙ্কে ফিরিয়েছে ইডি।