সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের তেল আভিভে মার্কিন দূতাবাসের সামনে ড্রোন হামলা! বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হাউথিরা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার তেল আভিভের মার্কিন দূতাবাসের সামনে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গোটা অঞ্চল ঘিরে ফেলে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অ্যাম্বুলেন্স ও দমকলবাহিনী। খানিক পরেই আইডিএফের তরফে জানানো হয় দূতাবাসের সামনে ড্রোন হামলা হয়েছে। সেখান থেকেই এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে ৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। অনেকে আতঙ্কেও অসুস্থ বোধ করেন।
[আরও পড়ুন: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, অব্যাহত রক্তক্ষরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২!]
কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে কেন ধরা পড়ল না ড্রোনের গতিবিধি? টাইমস অফ ইজরায়েল সূত্রে খবর, আইডিএফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ড্রোনটি সাইরেন বন্ধ না করেই ইজরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। এই ঘটনার পর আকাশসীমায় টহল বাড়াচ্ছে দুটি যুদ্ধবিমান।
এদিকে, ইজরায়েলের বুকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হাউথিরা। সশস্ত্র সংগঠনটি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে জানায়, "গাজায় যে হত্যালীলা চালাচ্ছে ইজরায়েল এটা তারই জবাব। আমাদের সামরিক অভিযান সফল হয়েছে। একটি নতুন ড্রোন চালানো হয়েছে যা শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চোখে ধুলো দিতে সক্ষম হয়েছে।" উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে হামলা তীব্র করেছে হাউথিরা। রক্তাক্ত হয়েছে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর। তখনই হাউথিরা জানিয়েছিল গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। যতদিন না গাজায় ইজরায়েলি ফৌজ হামলা বন্ধ করছে ততদিন এই আক্রমণ চলবে। এবার হাউথিরা ইহুদি দেশটির অন্দরে আক্রমণ শানিয়েছে। ফলে আগামিদিনে আরও বড় ধরনের হামলা করতে পারে ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিরা। যা ইজরায়েলর কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।