সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “যোগ সবার জন্য আর সবাই যোগের জন্য।” শুক্রবার পঞ্চম আন্তর্জাতিক যোগদিবসে রাঁচির প্রভাত তারা গ্রাউন্ডে এই মন্তব্যই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাতসকালে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ অভ্যাসের পর এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও সবাইকে অবহিত করেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দেন আধুনিক যোগকে শহর থেকে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার। দেশজুড়ে গরীব ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যোগের প্রচার করে, তাঁদের স্বাস্থ্য মজবুত করাই যে তাঁর অন্যতম লক্ষ্য স্পষ্ট করেন তা-ও।
[আরও পড়ুন- মোদি বিরোধিতার খেসারত দিচ্ছেন নায়ডু! বিজেপিতে যোগ দিলেন টিডিপির ৪ সাংসদ]
বলেন, “গরীব ও আদিবাসীদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলতে চাই যোগকে। কারণ, গরীব মানুষকেই অসুস্থতার জন্য বেশি ভুগতে হয়। তাই তাঁদের মধ্যে যোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেবে সরকার। তবে এখন আমরা বলতে পারি ভারতের প্রতিটি প্রান্তে, প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ড্রয়িংরুম থেকে বেডরুম, শহরের পার্ক থেকে স্পোর্টস কমপ্লেক্স ঢুকে গিয়েছে। রাস্তা থেকে ওয়েলনেস সেন্টারে পৌঁছে গিয়েছে। আজ যখন বিশ্বজুড়ে সবাই যোগকে গ্রহণ করেছে তখন আমাদের যোগ সম্পর্কে আরও গবেষণা করা উচিত। আর এর সঙ্গে যুক্ত করা উচিত ওষুধ, ফিজিওথেরাপি ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সিকে।”
দেশবাসীকে যোগদিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে যোগাভ্যাসকে রোজকার রুটিনে পরিণত করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নতির লক্ষ্যে যোগাভ্যাস করুন। সার্বিক ভালো থাকার চাবিকাঠি হল যোগ। সমস্ত ধর্ম ও বিশ্বাসের ঊর্ধ্বে এর স্থান। ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ যোগের সঙ্গে প্রকৃতিরও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।”
[আরও পড়ুন- তামিলনাড়ুতে মাত্র একজন ছাত্রের জন্য ফের খুলল বন্ধ হওয়া স্কুল!]
শুক্রবারের এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই সাজো সাজো রব ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে। প্রভাত তারা গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় বসানো হয়েছিল ৪০০ অস্থায়ী বাথরুম, ২০০টি পানীয় জলের কিয়স্ক, আটটি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র, ২১টি অ্যাম্বুল্যান্স, ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরই ২১ জুন যোগ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। তারপর ভারতের আবেদনের ভিত্তিতে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক যোগদিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। ২০১৫ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিনটিকে পালন করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রীর মতোই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যোগ প্রচারে গেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে সরকারি আমলা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং যখন রাজধানী দিল্লিতে যোগ প্রচারে নেতৃত্বে দিচ্ছেন তখন অমিত শাহ রয়েছেন হরিয়ানার রোহতকে। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বেরিয়েছেন উচ্চপদস্থ সরকারি আমলারাও।
The post “যোগ সবার জন্য, সবাই যোগের জন্য”, আন্তর্জাতিক যোগদিবসে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.