সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) আমলে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আইনশৃঙ্খলার। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে রাজ্যকে শীর্ষে নিয়ে গিয়েছেন যোগী। আর তার ফলে রাজ্যে বেড়েছে বিনিয়োগ। এভাবেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ঢালাও সার্টিফিকেট দিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেপ্রসঙ্গে রবিবার অমিত শাহর দাবি, বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে।
২০২২ সালের নির্বাচনের কাউন্টডাউন কার্যত শুরু হয়েই গিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের বহু নেতাই উত্তরপ্রদেশ সফরে এসেছেন। এবার এলেন অমিত শাহ। ‘উত্তরপ্রদেশ স্টেট ইনস্টিটিউট অফ ফরেনসিক সায়েন্স’-এর ‘ভূমি পূজন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লখনউ এলেও এদিন তাঁর কথার সিংহভাহে ছিল যোগী সরকারের প্রশস্তিই।
[আরও পড়ুন: সেনাকে পাথর ছুঁড়লে সরকারি চাকরি,পাসপোর্ট নয়! ‘দেশদ্রোহী’ দমনে কড়া Kashmir প্রশাসন]
ওই অনুষ্ঠানে অমিত শাহকে বলতে শোনা যায়, ‘‘৪৪টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের রূপায়ণের ক্ষেত্রে যোগী উত্তরপ্রদেশকে শীর্ষে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁর আমলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। যার ফলে বিনিয়োগ আসছে। কমছে দুর্নীতি। কোভিড অতিমারীর মধ্যেও যোগীজি ও তাঁর দল চমৎকার কাজ করেছেন।’’
পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এখন বিরোধী নেতাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। কেননা নির্বাচন এসে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ আর বিভ্রান্ত হবেন না। কোথায় ছিলের বিরোধী নেতারা যখন এখানে মাফিয়ারাজ, দাঙ্গা চলত। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ছিল শীর্ষে। পরিবারগুলির কাছে শৌচাগারও থাকত না?’’
[আরও পড়ুন: মিটল দীর্ঘদিনের বিবাদ, Assam-Nagaland সীমানা থেকে নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার দুই রাজ্যেরই]
যোগী এরাজ্যের মসনদে বসার পর থেকে যে উত্তরপ্রদেশের ছবিটাই বদলে গিয়েছে সেই দাবি করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৯ সাল পর্যন্ত টান ছ’বছর আমি উত্তরপ্রদেশে বহুবার এসেছি। সেই সময় পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ভয়ের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। মহিলারা ভুগছিলেন নিরাপত্তাহীনতায়। দরিদ্র মানুষদের জমি কেড়ে নিচ্ছিল জমি মাফিয়ারা।’’
পাশাপাশি তাঁর দাবি, বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানাচ্ছেন, ‘‘২০২১ সালে দাঁড়িয়ে আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর সহকারীরা মিলে আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে রাজ্যকে শীর্ষে নিয়ে গিয়েছেন।’’