ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দলের কথা দলের বাইরে বলা নিয়ে আগেই নেতা-কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, কোনও সমস্যা হলে দলের মধ্যে আলোচনা করেই তা মেটাতে হবে। দরকারে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে সমস্যার কথা জানান, কিন্ত তা নিয়ে কোনওভাবেই প্রকাশ্যে বিশেষত সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলা চলবে না। কিন্তু তার পর দেখা গিয়েছে, অনেকেই তা মানেননি। শুক্রবার মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে ফের সেই প্রসঙ্গ উঠল। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) প্রকাশ্যে মুখ খোলা নিয়ে রীতিমতো ভর্ৎসনা করলেন নেত্রী। কড়া গলায় বললেন, ”তুমি বড্ড বেশি কথা বলছ।”
শুক্রবার কালীঘাটে (Kalighat) মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক ছিল তৃণমূল সুপ্রিমোর। সেখানে হুমায়ুন কবীরকে মুখ খোলা নিয়ে সতর্ক করছিলেন অভিষেক। তাতে হুমায়ুন কবীর জানান, তাঁর কাছে সংবাদমাধ্যম জানতে চায়, তাই তিনি বলেন। পালটা অভিষেক কিছু বলতে যান। উভয়ের বাকযুদ্ধে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে, এই ভেবে মমতাই তা নিজের হাতে নেন। হুমায়ুনকে কড়া ধমকের সুরে বলেন, ”তুমি বড্ড বেশি কথা বলছ।”
[আরও পড়ুন: অযোধ্যার সঙ্গে জুড়ে গেল কলকাতা, উপহারের সোনা-রুপো আসবে টাঁকশালে]
এর পরও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের কথা বলতে গিয়ে হুমায়ুন কবীর অধীর চৌধুরীর প্রসঙ্গ তোলেন। তাতে মমতা বলেন, “ওটা কোনও ফ্যাক্টর নয়। ৫ বার বিজেপির টিকিটে জেতা লোক। মুর্শিদাবাদ জেলার সাড়ে তিনটি আসনে আমরা জিতব। কারণ, মুর্শিদাবাদের দুটি বিধানসভা – শামসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা মালদহ উত্তর লোকসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। সেই দুটি বিধানসভা আসনে গতবার অর্থাৎ ২০১৯-এ কংগ্রেস লিড পেয়েছিল। এই দুটি আসনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ২৫ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হবে জাতীয় ভোটার দিবস, জানেন দিনটির গুরুত্ব?]
এর পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলের উদ্দেশে বলেন, ”জেলায় জেলায় ভালো ফল হয়েছে। পঞ্চায়েতেও সিংহভাগ আমরা জিতেছি। কিন্তু কিছু কিছু নেতা যদি ভাবেন জিতে মৌরসিপাট্টা জমাবেন, তাহলে ভুল হবে। আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না।” আগামী ২২, ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠান রয়েছে। ওই দিনগুলোয় গুরুত্ব সহকারে দলের কর্মসূচি পালন করতে হবে। প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিটি বুথে কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে বলে জানান অভিষেক।