সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের বাবার কাছে নিরাপদ নয় কিশোরী। এমনকী জন্মদাতা বাবার কাছে নিরাপদ নয় সে! বাবাই (Father) নাকি প্রতিনিয়ত সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করে তাকে। নিজের কাকিমার কাছে এহেন অভিযোগই জানাল কিশোরী। নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় কিশোরীর অডিও ক্লিপ। তা কানে আসে কিশোরীর দাদার। বাবার ‘কুকীর্তি’র লজ্জায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন ওই যুবক। রাজস্থানের জোধপুরের ঝালোরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিভিন্ন মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
করোনা (Coronavirus) আতঙ্কে বন্ধ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে অনলাইন ক্লাসই ভরসা পড়ুয়াদের। আর সেই ক্লাস করতে গেলে প্রয়োজন স্মার্টফোনের। ঝালোরের বাসিন্দা ওই কিশোরীর দাবি, অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারার জন্য মোবাইল কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তার বাবা। মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে স্মার্টফোন কিনে দেবে বলেও জানায় ওই ব্যক্তি। যদিও কিশোরীর মা বলেছিলেন, স্মার্টফোন কিনতে যাওয়ার সময় মেয়ের পাশাপাশি ছেলেকেও সঙ্গে নিয়ে যেতে। তাতে রাজি হননি ওই ব্যক্তি। একা নিয়ে যাওয়ার সুযোগে গাড়িতে ওই কিশোরীকে তার বাবা ধর্ষণ (Rape) করে বলে অভিযোগ। জানাজানি হলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: Alipur Zoo: এক সপ্তাহে ৩ দত্তক, প্যাঙ্গোলিন, বাঘরোলের সঙ্গে এবার অভিভাবক পেল অ্যানাকোন্ডাও]
কিশোরীর আরও অভিযোগ, এর আগেও ঘুমন্ত অবস্থায় বাবা তাকে একাধিকবার যৌন হেনস্তা করে। টের পেয়ে যাওয়ায় বাধা দেয়। লোক জানাজানি করতে বারণ করে কিশোরীর বাবা। জানাজানি হলে খুনের হুমকিও দেয়। এমনকী কিশোরীকে তার বাবা পরিজন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিশতে দিত না বলেও অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে কাকিমার কাছে গোটা ঘটনাটি খুলে বলে সে। ওই অডিও ক্লিপই ভাইরাল হয়ে যায়। যা কানে আসে তার দাদারও।
বাবার ‘কুকীর্তি’র কথা জানতে পেরেই নর্মদায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হন ওই কিশোরীর দাদা। এদিকে কাকিমার অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরীর বাড়িতে পুলিশ পৌঁছয়। তবে ততক্ষণে কিশোরীর বাবা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে। কিশোরীর মেডিক্যাল টেস্টও (Medical Test) করানো হয়েছে। স্বামীর ‘কুকীর্তি’তে সন্তানদের করুণ পরিণতিতে ভেঙে পড়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রী।