সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীরাজ্যে ফের অনাচার। ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ২১ বছর বয়সি যুবকের। এখানেই কুকীর্তির শেষ নয়। এই ঘটনা সামনে আসার পর অভিযুক্তর বাবা আবার সেই নাবালিকার ধর্মান্তর করিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিল। আর গোটা ঘটনাটি সামনে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বালিয়া জেলার। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি বাড়িতে একা ছিল ওই নাবালিকা। সেটারই সুযোগ নেয় আবদুল রহমান ওরফে গোলু নামে অভিযুক্ত যুবক। ঘরে ঢুকে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। এরপর ভিডিও দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রাখার জন্য নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেলও করতে থাকে। এরপর শেষপর্যন্ত ১৩ জানুয়ারি পরিবারকে সমস্তটা জানায় ওই নাবালিকা।
[আরও পড়ুন: হাত ধরা বা প্যান্টের চেন খোলা পকসো আইনে যৌন নির্যাতন নয়! নয়া রায় বম্বে হাই কোর্টর]
এরপরই মেয়েটির বাবা অভিযুক্তের বাড়িতে যান। অভিযুক্তের বাবার কাছে আবেদন জানান, তার ছেলে যেন ওই ভিডিওটি মুছে দেয়। কিন্তু ছেলেকে সেকথা বলার পরিবর্তে উলটে মেয়েটির বাবাকে কালিম নামে ওই ব্যক্তি বলেন, মেয়েটিকে হিন্দু থেকে মুসলিম হতে হবে। এরপরই তিনি বা তার ছেলে মেয়েটিকে বিয়ে করবেন! যা শোনার চমকে যান আক্রান্ত মেয়েটির বাবাও।
[আরও পড়ুন: ফাঁসি হোক লালকেল্লার ঘটনায় জড়িত কৃষক নেতাদের, অমিত শাহকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের]
এরপরই তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬, ৪৫২ ধারা, উত্তরপ্রদেশের ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইনের সেকশন ৩ ও ৫ (১) ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা এলাকায় হইহই ব্য়াপার। অনেকেই দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। আপাতত অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।