সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক দেশ, এক কর। এই মন্ত্রেই সারা দেশকে দীক্ষিত করতে চেয়েছে সরকার। বিরোধীদের হাজার বাধা সত্ত্বেও চালু হয়েছে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স। জিএসটি-র আওতায় পড়েছে বেশ কিছু সামগ্রী। বাদ গিয়েছে কিছু। এই বাদের তালিকাতেই রয়েছে কন্ডোমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। নিরোধের উপর কোনও জিএসটি চাপায়নি কেন্দ্র। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও বাজারে ছেয়ে যাচ্ছে সস্তার চিনা কন্ডোম। আর মাথায় হাত পড়েছে দেশের ব্যবসায়ীদের। কিন্তু কেন?
[শূন্যে ভেসে গঙ্গারতি! অবিশ্বাস্য কেরামতির ভিডিও ভাইরাল]
কারণ, ভারতীয় কন্ডোমের উপর কোনও কর না থাকলেও বেড়ে গিয়েছে তার উপাদানের খরচ। কীভাবে? কন্ডোমের প্রধান দু’টি উপাদান রাবার ও সিন্থেটিক রাবারের উপর যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশ জিএসটি চালু হয়েছে। এর ফলে দু’টির দামই হেরফের হয়েছে। আর এই সুযোগেই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে চিনা কন্ডোম। যা ভারতীয় কন্ডোমের তুলনায় অনেকটাই সস্তা।
কিন্তু এখানেই থেকে যাচ্ছে বিপদের ঝুঁকি। চিন অল্প মূল্যে কন্ডোম বিক্রি করে ভারতের বাজার দখল করছে ঠিকই, তবে সস্তার এই নিরোধ কী ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে তা কেউ জানে না। অনেকের মতে, এই কন্ডোমগুলির গুণগত মান বেশ খারাপ। কন্ডোমের উপাদানের ক্ষেত্রে যে ন্যূনতম মান বজায় রাখা উচিত। তা একেবারেই বজায় রাখছে না চিনা সংস্থাগুলি। অথচ সস্তা হওয়ার ফলে এগুলির দিকেই ঝুঁকছেন আম জনতা। এতে বিপদের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
[সেনার গুলিতে খতম শীর্ষ লস্কর নেতা আবু দুজানা]
শোনা যাচ্ছে, প্রতিযোগিতার এই বাজারে টিকে থাকতে গিয়ে কয়েকটি ভারতীয় কন্ডোম প্রস্তুতকারক সংস্থাও উন্নতমানের উপাদানের বদলে সস্তার উপাদান ব্যবহার করার কথা ভাবছে। এমনটা যদি হয় তাহলে তা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বেশ বিপজ্জনক হতে পারে। এমনিতেই স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো মহিলাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর উপর চাপানো জিএসটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। যদি চিনা কন্ডোমের রমরমা এভাবেই চলতে থাকে। তাহলে ভারতীয় কন্ডোম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিও বিরোধের পথেই হাঁটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[‘ভারতের অধিকাংশ মুসলমান আগে হিন্দুই ছিলেন’]
The post বাজার ছেয়ে যাচ্ছে চিনা কন্ডোমে, মাথায় হাত দেশের ব্যবসায়ীদের appeared first on Sangbad Pratidin.