সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। এবার জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য জাইডাস ক্যাডিলার (Zydus Cadila) করোনা ভ্যাকসিন ZyCov-D-কে সবুজ সংকেত দিল ভারত সরকার। শুক্রবার ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI) তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, জরুরি প্রয়োজনে এই সংস্থার ভ্যাকসিনও এবার থেকে প্রয়োগ করা যাবে। কোম্পানির দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম DNA বেসড্ করোনা টিকা। এবং এটি প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি বাচ্চাদের উপরও প্রয়োগ করা সম্ভব।
গত ১ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রকে আবেদন জানিয়েছিল জাইডাস ক্যাডিলা (ZyCov-D)। অবশেষে তাদের সেই আবেদনে সাড়া মিলল। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কেন্দ্র সরকারের বায়োটেকনোলজি বিভাগের (DBT) সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি এই টিকা ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের উপর জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করা যাবে। উল্লেখ্য, এই সংস্থাই ভারতে সবথেকে বড় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে। যার অন্তর্ভুক্ত ছিল ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিরাও।
[আরও পড়ুন: ‘দুঃসহ দারিদ্র্য, লালনপালনের সামর্থ্য না থাকায় দুধের সন্তানকে ‘বিক্রি’, আটক বেহালার দম্পতি]
DBT-র তরফে ডা. রেণু স্বরূপ জানান, “ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) উৎপাদনের লক্ষ্যে এটি মাইলস্টোন তৈরি করে ফেলল। কোভিড টিকা তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেবে আমাদের দেশ।” পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ২৮০০০ মানুষের উপর এর তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। যেখানে ভ্যাকসিনটি ৬৬.৬৬ শতাংশ কার্যকর বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। টিকাটি ছাড়পত্র পেতেই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দেশে ইতিমধ্যেই ৫৭ কোটিরও বেশি মানুষ টিকা পেয়ে গিয়েছেন। টিকাকরণের গতি বাড়ানোর জন্য বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই দেশে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড, ভারতের তৈরি কোভ্যাক্সিন, রাশিয়ান স্পুটনিক ভি, মডার্না টিকা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য সদ্য ছাড়পত্র পেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্য়াকসিনও। এবার ছাড়পত্র পেল জাইডাস ক্যাডিলা। জাইডাস ক্যাডিলা বা ZyCoV-D ভ্যাকসিনটি তিনটি ডোজে নিতে হয়। এক্ষেত্রে ইঞ্জেকশনের ব্যবহার করতে হয় না। প্রথম ডোজের ২৮ দিন পর নিতে হয় দ্বিতীয় ডোজটি। ৫৬ দিনের মাথায় দেওয়া হয় তৃতীয় ডোজ। এই ভ্যাকসিন করোনার সব ধরনের ভ্যারিয়েন্ট রুখে দিতে সক্ষম বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের।