অর্ণব আইচ ও সুব্রত বিশ্বাস: তপসিয়ায় জুতোর কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড (Fire)। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা এলাকা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৭ টি ইঞ্জিন। আগুন যাতে পাশের কারখানায় ছড়াতে না পারে তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লেলিহান শিখা আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে দমকল।
তপসিয়ার (Tapsia) ৮০/১ মিলাদনগরে রয়েছে ওই জুতোর কারখানাটি। মঙ্গলবার বেলা একটা নাগাদ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় কারখানা সংলগ্ন এলাকা। এরপরই জানা যায়, জুতোর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি। কারখানার ভিতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুতগতিতে ছড়াতে থাকে আগুন। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে একের পর এক সামগ্রী। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। আগুন আয়ত্তে আনার কাজ শুরু করা হয় তড়িঘড়ি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে। তবে এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি লেলিহান শিখা।
[আরও পড়ুন: মালবাজারে হড়পা বানে মৃতদের পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, হাতে তুলে দিলেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র]
কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ড? দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই বলা সম্ভব নয় যে কী থেকে অগ্নিকাণ্ড। আগুন আসার পর তা বোঝা যাবে। আশেপাশের কলকারখানায় যাতে এই আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকেই নজর দমকলের। আগুন যত দ্রুত আয়ত্তে আনা যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে একইদিনে লিলুয়ায় রেলের ওয়ার্কশপে ভয়াবহ আগুন। আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে আস্ত একটা কোচ। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ ‘এম সপে’ কোচ মেরামতির কাজ চলছিল। কোচের নিচে গ্যাস কাটার দিয়ে কাজের সময় আগুন লেগে যায়। লেলিহান শিক্ষা গ্রাস করে নেয় কোচটিকে। তিনটি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আয়ত্তে আসে আগুন। এই ঘটনার পরই দুই সদস্যের তদন্তকারী কমিটি তৈরি করা হয়েছে।