shono
Advertisement

টাকার লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার ৪

কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Posted: 12:25 PM Apr 18, 2022Updated: 01:34 PM Apr 18, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ধর্মান্তকরণ (Religious Conversion) নিয়ে উত্তেজনা ও অশান্তি বেড়েছে দেশে। সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন আনার দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishwa Hindu Parishad) মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই আবহে এবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আজমগড়ে অবৈধ ধর্মান্তকরণের অভিযোগে দুই মহিলা-সহ ৪ জনকে আটক করল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্থানীয় বেশ কিছু মানুষকে তাঁরা অবৈধভাবে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনা আজমগড়ের জেলার আন্ডাখোর এলাকার। অন্যতম অভিযুক্তের নাম রাকেশ কুমার। সে দিল্লির বাসিন্দা। অন্যরা হল অজয় কুমার, রিতা দেবী ও গীতা। এরা অজমগড়েরই বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। রাকেশ কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে কয়েক মাস আগে আজমগড়ে একটি ঘর ভাড়া নেয়। সেখানে স্থানীয়দের আমন্ত্রণ জানাত। এরপর বিভিন্নভাবে তাদের প্রভাবিত করে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করত। আরও অভিযোগ, ধর্মান্তরিত করতে রাকেশ টাকার প্রলোভনও দেখাত। এই কাজে সাহায্য করত বাকি তিনজন। রাকেশ-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিলারিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ।

[আরও পড়ুন: লখিমপুর কাণ্ডে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের জামিন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, ফের যেতে হবে জেলে]

এই বিষয়ে বিলারিয়াগঞ্জের এসএইচও (SHO) বিজয় প্রকাশ বলেন, “আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করি। রাকেশ ও অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে অভিযুক্তরা কতজন ব্যক্তিকে ধর্মান্তরিত করেছেন।” উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলার হরিহরগঞ্জ এলাকায় ধর্মান্তকরণ নিয়ে ক’ দিন আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে ছিল। ওই ঘটনায় ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশে অতি দরিদ্রের সংখ্যা কমেছে ১২.৩ শতাংশ, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাংকের]

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ধর্মান্তকরণ বন্ধ করতে কেন্দ্রের কাছে নির্দিষ্ট আইন (Anti Conversion Law) প্রণয়নের দাবি জানিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কারা ধর্মান্তরকরণ করছে, তাদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছিল তারা। ধর্মান্তরিতদের ফের স্বধর্মে ফিরিয়ে আনতে দেশজুড়ে ঘর ওয়াপসি কর্মসূচিতে জোর দেওয়ার কথাও বলে পরিষদ। পরিষদের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. সুরেন্দ্র কুমার অভিযোগ করেছিলেন, “করোনার ভয়াবহ বিপর্যয়ের সময়ে সাধারণ মানুষের অসহায়তা ও আর্থিক দুরবস্থার সুযোগ নিয়ে খ্রিস্টান মিশনারি ও মৌলবীরা আগ্রাসীভাবে ধর্মান্তকরণে নেমে পড়ে। মূলত বনবাসী ও তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এই অবৈধ ধর্মান্তকরণের শিকার হয়েছেন।” 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement