মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: প্রথমেই স্বীকার করি, ISL সেইভাবে আমাকে এতদিন টানেনি। কারণ একটাই, ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগানকে বাদ দিয়ে কখনও ভারতীয় ফুটবল তার পূর্ণতা পায় না। কলকাতার দুই প্রধান এবার আসায় পূর্ণতা পেল আইএসএল।
এবার আসি এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) প্রসঙ্গে। দেখুন, এটিকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোহনবাগান। ফলে সবুজ–মেরুন বাহিনী এবার গুছিয়ে নামতে পারছে। সেখানে কোনও অ্যাডভান্টেজ এবার পায়নি এসসি ইস্টবেঙ্গল। মানছি পাঁচ বিদেশির উপর যে কোনও দল দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু বাকি ছ’জন তো ভারতীয় হওয়া চাই। জেজে, বলবন্ত, বিকাশ জাইরু, মিলন সিং, রফিক, লিংডোরা আছে ঠিকই। কিন্তু দারুণ সাড়া ফেলতে পারবে তো? আইএসএলে জেজে চিরকালই ভাল খেলে। কিন্তু গতবার বেচারা চোট পেয়ে সে ভাবে খেলতে পারল না। এবার চোট সারিয়ে কতটা মেলে ধরতে পারবে, দেখার।
[আরও পড়ুন: নিয়ম বদল ICC’র, সর্বোচ্চ পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দু’নম্বরে নামল ভারত]
অর্থাৎ এক দিক থেকে বিদেশিরাই এবার লাল-হলুদের ভরসা। কোচ রবি ফাউলার (Robbie Fowler) কিংবদন্তি ফুটবলার। ওঁর খেলা দেখেছি। নিশ্চয়ই নিজ গর্বটা ধরে রাখবেন। ফাউলার যেসব বিদেশি এবার নিয়ে এসেছেন, তাঁদের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। বায়োডাটা দেখে যা বুঝতে পারছি, পিলকিংটন, কঙ্গোর মাঘোমা, অস্ট্রেলিয়ান স্কট নেভিলরা বেশ ভাল। এসসি ইস্টবেঙ্গল এবার বেশিরভাগ বিদেশি নিয়ে এসেছে রক্ষণে। আমার ধারণা, রক্ষণকে সামাল দিয়ে আক্রমণে ঝাঁপানোই লক্ষ্যই ফাউলারের। কিন্তু পিলকিংটন, হলোওয়ে, মাঘোমার উপর আক্রমণ অনেকটা নির্ভর করবে। প্রিয় টিম নিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাসী নই। তাই বলে খারাপ করবে, তাও বলছি না। আসলে কলকাতার দুই প্রধানের কাছ থেকে সকলে ট্রফি চায়। আবার এও মানতে হবে, প্র্যাকটিস ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৩-১ গোলে হারানোর মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করেছে, আশাহত করবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রার্থনা করছি, তাই যেন হয়।