shono
Advertisement

ব্যাটে–বলে দুরন্ত কেকেআর, রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে–অফের আরও কাছে মর্গ্যানরা

জেনে নিন কোন অঙ্কে প্লে-অফে পৌঁছতে পারবে কেকেআর।
Posted: 11:18 PM Nov 01, 2020Updated: 12:46 PM Nov 02, 2020

কলকাতা নাইট রাইডার্স:‌ ২০ ওভারে ১৯১/‌৭ (‌মর্গ্যান ৬৮*‌, তেওটিয়া ৩/‌২৫)‌
রাজস্থান রয়্যালস: ২০‌ ওভারে ১৩১/‌৯ (‌বাটলার ৩৫, কামিন্স ৪/‌৩৪)‌
কলকাতা নাইট রাইডার্স ৬০ রানে জয়ী।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ একেবারে মরণবাঁচন ম্যাচ। জিতলে প্লে–অফে যাওয়ার আশা থাকবে। আর হারলে সব শেষ। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরা খেলাটা বোধহয় খেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। ব্যাটে মর্গ্যান–গিল–ত্রিপাঠিদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর বল হাতে কামিন্স–মাভি–বরুণরা থামিয়ে দিলেন রাজস্থানের ‘‌বিস্ফোরক’ ব্যাটিং লাইন আপকে।‌ ডু অর ডাই ম্যাচে রাজস্থানকে ৬০ রানে হারিয়ে প্লে–অফের যাওয়ার আশাও বাঁচিয়ে রাখল নাইটরা। এখন তাকিয়ে থাকতে হবে আরসিবি–দিল্লি এবং হায়দরাবাদ–মুম্বই ম্যাচের দিকে।

এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। আর প্রথম ওভারেই নীতীশ রানাকে আউট করে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেন আর্চার। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে গিল–ত্রিপাঠি জুটির পালটা লড়াইয়ে ম্যাচে ফেরে কেকেআর। দু’‌জনে মিলে যোগ করেন ৭২ রান। এরপর দ্রুত গিল (‌৩৬)‌ এবং তাঁর জায়গায় ব্যাট করতে নামা সুনীল নারিন (‌০)‌ আউট হয়ে যান। শূন্য রানে ফিরে যান দীনেশ কার্তিকও। অন্যদিকে, ৩৯ রানে আউট হন ত্রিপাঠি।
শেষপর্যন্ত দলের মরণবাঁচন ম্যাচে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। ৩৫ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। মারেন পাঁচটি চার ও ছ’‌টি ছয়। চোটের কারণে শেষ কয়েকটি ম্যাচে বাইরে থাকার পর এদিন ফের প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেন রাসেল। তিনি করলেন ১১ বলে ২৫ রান। শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৯১ রান তোলে কেকেআর।

[আরও পড়ুন: এটাই কি আইপিএলে তাঁর শেষ ম্যাচ? জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন ধোনি]

এর আগে চলতি আইপিএলেই ১৯০ বা তার বেশি রান তিনবার তাড়া করার নজির রয়েছে রাজস্থানের। শুরুটাও তেমনই হয়েছিল। প্যাট কামিন্সের প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বলেই আসে ১৯ রান। কিন্তু তারপরই হঠাৎই ছন্দপতন। রানের গতি ঠিক রাখলেও পরপর উইকেট পড়ে যায়। একসময় হ্যাটট্রিকের সুযোগও এসে গিয়েছিল কামিন্সের কাছে। স্টোকস ১৮ রান করে আউট হলেও ব্যর্থ হন স্মিথ, স্যামসন, উথাপ্পারা। কামিন্স ওই স্পেলেই তুলে নেন তিন উইকেট। অন্যদিকে, বিপজ্জনক হতে চলা বাটলার (‌৩৫)‌ এবং রাহুল তেওটিয়াকে (‌৩১) ফেরান বরুণ। এর মধ্যে দুরন্ত একটি ক্যাচও ধরেন দীনেশ কার্তিক। শেষপর্যন্ত কেকেআর বোলারদের দাপটে ৬০ রান দূরেই থেমে যায় রাজস্থানের ইনিংস। সব মিলিয়ে চার উইকেট নেন কামিন্স।

এদিকে, ইতিমধ্যে বেশ জটিল হয়ে উঠেছে লিগ টেবিলের‌ অঙ্ক। মুম্বইয়ের একটি ম্যাচ বাকি থাকলেও প্রথম স্থানে থাকা তাঁদের একেবারে পাকা। দ্বিতীয় স্থানের জন্য সোমবার লড়াই আরসিবি এবং দিল্লির মধ্যে। এই দুই দলের মধ্যে যে জিতবে সে দ্বিতীয় স্থান পাবে। অন্যদল তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানের জন্য লড়াই করবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতার সঙ্গে। ওই ম্যাচে হার-জিতের ব্যবধান বেশি হলে কলকাতা নেট রানরেটে আরও সুবিধাজনক জায়গায় চলে যাবে।  অন্যদিকে, আবার হায়দরাবাদ–মুম্বই ম্যাচে ওয়ার্নাররা জিতলেই তাঁদের শেষ চারের টিকিট পাকা। হারলে যথারীতি কলকাতা, দিল্লি এবং ব্যাঙ্গালোর প্লে–অফে যাবে। অর্থাৎ এই দু’‌টি ম্যাচের দিকেই আপাতত তাকিয়ে থাকতে হবে কেকেআর ভক্তদের।

[আরও পড়ুন: সমর্থকদের দাবি মেনে শীঘ্রই বদলাচ্ছে এটিকে-মোহনবাগানের জার্সি, আশ্বস্ত করলেন কর্তারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement