কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ৮৪/৮ (মর্গ্যান ৩০, সিরাজ ৩/৮)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৩.৩ ওভারে ৮৫/২ (পাড়িক্কল ২৫, লকি ফার্গুসন ১/১৭)
আট উইকেটে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাপঞ্চমী। করোনা আবহেই কলকাতাবাসী কিন্তু পুজোর মুডে ঢুকে পড়েছে। তবে উৎসবের মরশুমের এই দিনটি কলকাতা নাইট রাইডার্স ভক্তদের কাছে সুখকর হল না। কারণ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইপিএলে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে লজ্জার হার। মহম্মদ সিরাজ–চাহাল–সুন্দরদের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে একসঙ্গে কেকেআরের গোটা ব্যাটিং লাইন-আপ ভেঙে পড়ল।
২০১৭ সালে ইডেনে ৪৯ রানে অলআউট হয়েছিল বিরাটের আরসিবি। এতদিন দু’দলের ম্যাচ থাকলে এই নিয়েই আরসিবি ফ্যানদের কটাক্ষ করতেন নাইট সমর্থকরা। কিন্তু এদিন কার্তিকদের ব্যাটিং ব্যর্থতা বিরাটদের সেই লজ্জার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলার বা ভেঙে দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছিল। শেষপর্যন্ত তা না হলেও ১০০ রানও করতে পারেননি নাইটরা।
[আরও পড়ুন: বাজল ডার্বির দামামা! মহাপঞ্চমীতেই ঘোষিত আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচের দিন]
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন মর্গ্যান। শুরুতেই ছিল চমক। ১২৯ ম্যাচ পর নারিন এবং রাসেল ছাড়া মাঠে নামে কেকেআর। এর আগে দুই ক্যারিবিয়ান তারকা দলে ছিলেন না, সেই দৃশ্য শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে। এদিকে, এর মধ্যে খেলা শুরু হতেই রেকর্ড গড়ে কেকেআরকে জোড়া ধাক্কা দেন মহম্মদ সিরাজ। ম্যাচের দ্বিতীয় এবং নিজের প্রথম ওভারেই মেডেন দিয়ে আউট করেন রাহুল ত্রিপাঠি এবং নীতিশ রানাকে।এরপর আরও একটি ওভার মেডেন দেন। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে এক ম্যাচে দুটি মেডেন ওভার দেওয়ার রেকর্ড গড়েন।
এরপর দ্রুত ফিরে যান গিল (১), টম ব্যান্টন (১০), দীনেশ কার্তিকরা (৪)। মর্গ্যান (৩০), কুলদীপ (১২) এবং ফার্গুসেনর (১৯*) রানের সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৮৪ রানই করতে সক্ষম হয় কেকেআর। বেঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সিরাজ তিনটি, চাহাল দু’টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাড়িক্কল এবং ফিঞ্চ ভালই শুরু করেন। তবে ফিঞ্চ ১৬ রান এবং পাড়িক্কল ২৫ রানে আউট হলেও, বিরাট–গুরকিরতমান জুটি আরসিবিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রাই অতি সহজেই পৌঁছে দেয়। কেকেআরের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন লকি ফার্গুসন। আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বড় ব্যবধানে এই হার কেকেআরের প্লে–অফে যাওয়ার রাস্তা আরও কঠিন করে দিল। অন্যদিকে, ২ পয়েন্ট পেয়ে শেষ চারের দিকে আরও একধাপ এগোল বিরাটের আরসিবি।