সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে উত্তাল ভেনেজুয়েলা। সোমবার ভোটের ফলপ্রকাশের পরে দেখা যায়, তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু সেদেশের আমজনতা অভিযোগ এনেছেন, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই এক প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে সেদেশে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় লাতিন আমেরিকার সাতটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভেনেজুয়েলা।
গত রবিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছিল ভেনেজুয়েলাতে (Venezuela)। সোমবার ফলপ্রকাশের পরে দেখা যায়, ৫১.২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মাদুরো। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, তাদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালেস উরুশিয়া ৭৩.২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কারচুপি করে বদলে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের ফলাফল। দেশের বিরোধী দলনেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোও সাফ জানিয়ে দেন, মাদুরোর থেকে দ্বিগুণেরও বেশি ভোট পেয়েছেন বিরোধী পদপ্রার্থী।
[আরও পড়ুন: কেরলের ওয়ানড়ে ভয়ংকর ভূমিধস, শিশু-সহ মৃত ৬, আটকে শতাধিক]
ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই হাজারে হাজারে মানুষ নেমে পড়েছেন ভেনেজুয়েলার পথে। 'স্বাধীনতা চাই' স্লোগান তুলে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। প্রতিবাদ দমন করতে কড়া ভূমিকা নিয়েছে পুলিশও। কাঁদানে গ্যাস আর রবার বুলেট ছুড়ে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই এক প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। অন্তত ৪৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এহেন পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও কার্যত স্বৈরাচারী নীতি নিয়েছে ভেনেজুয়েলা। লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনা, চিলি, কোস্টা রিকা, পেরু, পানামা, ডোমিনিকান রিপাবলিক এবং উরুগুয়ে। এই দেশের সমস্ত রাষ্ট্রদূতকে অবিলম্বে দেশে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিদেশমন্ত্রী ইভান গিল। নিজেদের কূটনীতিকদেরও ওই দেশগুলো থেকে ফিরে আসতে বলেছেন তিনি। উল্লেখ্য, আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মতো দেশগুলোও ভেনেজুয়েলার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যদিও মাদুরোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাশিয়া এবং চিন।