সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও নাশকতার ছক মহারাষ্ট্রে (Maharastra)! থানেতে একটি মারুতির ভিতরে মিলল প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। মঙ্গলবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানের নাদি নাকায় একটি মারুতি গাড়ির ভিতরে বিস্ফোরকগুলি পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ১ হাজার জিলেটিন স্টিক (Gelatin sticks) ও সমসংখ্যক ডিটোনেটর ছিল ওই গাড়িতে। এই বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক কোথা থেকে এসেছিল এবং তা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে তিন সন্দেহভাজনকে। তাঁদের নাম আল্পেশ পাটিল, পঙ্কজ চৌহান, সমীর ভেদগা। তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হচ্ছে। পুলিশের আশা, শিগগিরি এই বিষয়ে আরও তথ্য তাদের হাতে আসবে।
[আরও পড়ুন: বাজেটে একলাফে অনেকটাই বাড়ল বরাদ্দ, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিলেন রেলমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, গত বছরই ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির বাড়ি ‘অ্যান্টিলা’র সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে ২০টি জিলেটিন স্টিক পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তদন্তে উঠে আসে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় পুলিশ অফিসার শচীন ওয়াজের। তারপর মে মাসে তাঁকে বরখাস্ত করে মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)।
জানা যায়, যে গাড়িতে বোমা রাখা হয়েছিল তার মালিক ব্যবসায়ী মনসুখ হিরনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ৫ মার্চ। এরপরে রহস্য আরও গভীর হয়। শচীনকে জেরা করার পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তার আগেই ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ ওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, মনসুখ হিরেনকে তিনিই খুন করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে সেই ছবি ফিরল থানের ঘটনায়। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে মহারাষ্ট্রের পুলিশ। তাই সব দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।