সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎকর্ষ মেধা, গবেষণার নিরিখে বাঙালি যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি তা ফের প্রমাণিত হল। বিজ্ঞান-গবেষণায় নজর কাড়ল বাঙালি গবেষকদের সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলোশিপ (পিএমআরএফ) ২০২২ সালের মে মাস পর্বের তালিকা অনুযায়ী, আইআইটি গুয়াহাটি ও বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ) থেকে ১১ জন বাঙালি এই ফেলোশিপ পাচ্ছেন। আইআইটি খড়গপুর, আইআইটি কানপুর, আইআইটি দিল্লি, আইআইটি বোম্বে, আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু-সহ পিএমআরএফ-এর তালিকাভুক্ত অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তাদের এই স্কলারশিপ প্রাপ্ত গবেষকদের নামের তালিকা প্রকাশ না করায় এই পর্বে মোট বাঙালি প্রাপকের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
পিএমআরএফ (PMRF) তহবিল থেকে প্রত্যেক গবেষক আগামী পাঁচ বছর ফেলোশিপ পাবেন। প্রথম দু’বছর প্রতি মাসে ৭০ হাজার ও তৃতীয় বছর ৭৫ হাজার টাকা পাবেন। চতুর্থ ও পঞ্চম বছর পাবেন ৮০ হাজার টাকা করে। এছাড়াও নিজেদের গবেষণার কাজের জন্য পাঁচ বছর ধরে প্রতি বছর ২ লাখ টাকা অর্থাৎ মোট দশ লাখ পাবেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের কাঁধে ৬ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা, দাবি শুভেন্দুর, পালটা কী বলছে তৃণমূল?]
গত বৃহস্পতিবার বিএইচইউর তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের চার পিএইচডি পড়ুয়ার এই ফেলোশিপ প্রাপ্তির খবর গর্বের সঙ্গে পোস্ট করে। তাতেই দেখা যায়, চারজনের মধ্যে দু’জনই বাঙালি। বায়োইনফরমেটিক্সে গবেষণার জন্য সুলগ্না বসু ও ইনস্টিটিউট অফ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট বিষয়ে গবেষণার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে অর্পণ মুখোপাধ্যায়কে। অন্যদিকে আইআইটি গুয়াহাটিতে এ বছর মোট পিএমআরএফ প্রাপকের সংখ্যা ৩৪। তার মধ্যে ন’জন বাঙালি। তাঁরা হলেন ভাস্বতী বৈশ্য, জয়া ঘোষ দস্তিদার, প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, সৈকত গিরি, সঞ্জয় সুর রায়, শাশ্বত জানা, শিল্পা নন্দী, সৃজন মুখোপাধ্যায়, শ্রীজাতা লাহিড়ি।
২০১৮-২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে পিএমআরএফ চালুর ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ও কৃতী পড়ুয়া গবেষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এই স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় পিএমআরএফ প্রাপক গবেষক পড়ুয়ার সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় খুশির হাওয়া জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটিতেও। দিল্লির এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবার মোট ১২ জন গবেষককে পিএমআরএফ-এর জন্য বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। প্রাপকদের মধ্যে ছ’জন তরুণী।